খুলনা, বাংলাদেশ | ১১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৬ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  আইপিএল নিলামে অবিক্রিত মোস্তাফিজুর রহমান, ভিত্তিমূল্য ছিলো ২ কোটি রুপি
  ইসকন নেতা চিন্ময় দাসকে বিমান বন্দরে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি
  কক্সবাজারের টেকনাফ সমুদ্র সৈকতে গোসলে নেমে নিখোঁজ দুই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
  সাবেক আইজিপি মামুনের ফের ৩ দিনের রিমান্ড

সাতক্ষীরায় নৌকার প্রার্থীসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর এর নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে সাতক্ষীরা জেলা তরুণ লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বৈকারী ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু মোঃ মোস্তফা কামালের র‌্যালীতে হামলা, মারপিট, ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতীকের প্রার্থী আবু মোঃ মোস্তফা কামালের ভাই আফতাবুজ্জামান বাদি হয়ে রোববার (৩১ অক্টোবর) নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আসাদুজ্জামান অসলে ও তার দু’ ছেলেসহ ৩০ জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাতনামা আরো ২২ জনের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেন। সাতক্ষীরা মুখ্য বিচারিক হাকিম মোঃ হুমায়ুন কবীর মামলাটি এজাহার হিসেবে গণ্য করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, আগামি ১১ নভেম্বর সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গত ২৭ অক্টোবর প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান আ’লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক ও জেলা তরুণ লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু মোঃ মোস্তফা কামাল স্বতন্ত্র প্রাথী হিসেবে মোটর সাইকেল প্রতীক পান। সদর উপজেলা কৃষি অফিস থেকে প্রতীক পাওয়ার পর স্বতন্ত্র প্রাথী মোস্তফা কামাল র‌্যালী করে বৈকারীতে ফেরার সময় বিকেল ৫টার দিকে কেয়ারপাড়া বটতলা নামকস্থানে পৌঁছালে নৌকার প্রার্থী আসাদুজ্জামান অসলে ও তার ছেলে ইনজামুল হক ইমজা ও জহির রহমানের নেতৃত্বে ৫২ জন হাতে লোহার রড. জিআই পাইপ, চাইনিজ কুড়াল নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। হামলায় আবু মোঃ মোস্তফা কামাল, আব্দুর রহমানসহ ১০/১২ জন জখম হন। ভাংচুর করা হয় ২০টি মোটর সাইকেল। কেড়ে নেওয়া হয় নগদ টাকা ও মোবাইল। আহত কর্মী সমর্থকদের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এঘটনায় স্থানীয় থানায় মামলা না নেয়ায় বাদি সাতক্ষীরা মুখ্য বিচারিক হাকিম মোঃ হুমায়ুন কবীর এর আদালতে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। বিচারক বাদির অভিযোগটি আমলে নিয়ে সেটি এজাহার হিসেবে গণ্য করার জন্য সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।

সাতক্ষীরা জজ কোর্টের আইনজীবী অ্যাড. জিয়াউর রহমান জিয়া মামলা ও আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

খুলনা গেজেট/ টি আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!