করোনা সংক্রমণরোধে বেশ কিছু বাধা নিষেধের মধ্যে সাতক্ষীরায় চলছে লকডাউনের দ্বিতীয় দিন। এর মধ্যে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় বিক্রয়ের সুযোগ পেয়েছে সাধারণ মানুষ। বন্ধ রয়েছে আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার গণপরিবহন। ভোমরা বন্দরে আমদানি রফতানি বাণিজ্য স্বাভাবিক রয়েছে।
গত শনিবার থেকে সাতদিনের জন্য শুরু হয়েছে এই লকডাউন। লকডাউন চলাকালে সাতক্ষীরার সাথে খুলনা ও যশোরের সংযোগস্থলে পুলিশ চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে একইভাবে পুলিশের চেকপোস্ট বসিয়ে চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। ভোমরা স্থল বন্দরে আসা ভারতীয় ট্রাক চালক ও হেলপারদের বন্দরে খোলামেলা চলাফেরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
তবে, সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় বিক্রয়ের সুযোগে সাতক্ষীরা শহরের বড় বাজারসহ হাট-বাজারগুলোতে মানুষের ভীড় ছিল লক্ষ্যনীয়। অনেক ক্ষেত্রেই স্বাস্থ্য বিধি মানছেন না অনেকেই। যদিও শহরে মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে পুলিশের তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। তবে শহরের প্রধান প্রধান সড়কে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রন করলেও অলিগলি ও অন্যান্য সড়ক গুলোতে রিক্সা, ভ্যান, ইজিবাইক, মটর সাইকেল চলাচলে বেশ ভীড় লক্ষ্য করা গেছে।
এদিকে, সাতক্ষীরা সীমান্ত পথে বৈধ অবৈধ যাতায়াত পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সীমান্ত জুড়ে টহলে রয়েছে বিজিবি সদস্যরা। এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম