সাতক্ষীরায় ৮ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে আটককৃত ১২ ও ১১ বছর বয়সী দুই শিশুকে যশোর শিশু সংশোধনাগারে নিরাপত্তা হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। আর সাতক্ষীরা কারাগারে পাঠানো হয়েছে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে অভিযুক্ত ১২ বছরের শিশুর মা রওশনারাকে।
এর আগে শিশুটিকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশদা ইউনিয়নের একটি গ্রাম থেকে দুই শিশুসহ তাদের একজনের মাকে রোববার (১৫ মে) সকালে আটক করা হয়। পরে তাদেরকে কারাগারে উপস্থাপন করা হলে বিচারক উল্লেখিত নির্দেশ প্রদান করেন।
মেয়েটির বাবার দেয়া মামলার বরাত দিয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বিশ্বজিৎ অধিকারী জানান, শনিবার বিকালে তাদের বাড়ির পাশেই ধর্ষণ চেষ্টার এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত শিশু ১২ ও তার চাচাতো ভাই আরেক শিশু ১১ এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানান তিনি। পুলিশ মেয়েটির বাবা দায়ের করা মামলা অনুযায়ী ওই দুই শিশুকে এবং এক জনের মা রওশনারাকে রোববার সকালে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
তবে এক শিশুর বাবা মোঃ টুটুল জানান, আমাদের সাথে মেয়ের বাবার জমিজমা সহ নানা বিষয়ে ঝগড়াঝাঁটি লেগেই আছে। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তার ছেলে, ভাতিজা ও স্ত্রীকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা দেয়া হয়েছে।
এবিষয় জানতে চাইলে বাঁশদা ইউনিয়নের স্থানীয় ইউপি সদস্য রিপন জানান, একটি ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে বলে আমিও শুনেছি।
সাতক্ষীরার আদালতের পরিদর্শক মাহবুবুর রহমান জানান, রোববার বিকালে শিশু দু’টিকে সাতক্ষীরার শিশু আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক এমজি আজমের আদালতে তোলা হয়। আদালত শুনানি শেষে শিশু দু’টিকে যশোরের পুলেরহাটে অবস্থিত শিশু সংশোধনাগারে নিরাপত্তা হেফাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিকে সাতক্ষীরা আদালতের বিচারক হাকিম মোহাম্মদ সালাউদ্দিন এর আদালতে রওশনারার জামিনের আবেদন জানানো হয়। শুনানি শেষে আদালত তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। একই সাথে ধর্ষণচেষ্টার শিকার মেয়ে শিশুটির মেডিকেল পরীক্ষার আদেশ দেয়া হয়।
খুলনা গেজেট/ এস আই