সাতক্ষীরায় দিন দিন বেড়েই চলেছে করোনা সংক্রমণের হার। কোনোভাবেই কমানো যাচ্ছে না এর গতি। করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে জেলা প্রত্যন্ত অঞ্চলে। একই পরিবারের একাধিক সদস্য সংক্রামিত হচ্ছে এই মরণ ভাইরাসে। গত ২৪ ঘন্টায় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাবে ১৮৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে জেলার সার্বাধিক ১০৩ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে জেলায় করোনা সংক্রমিত ব্যক্তিদের দ্রুত শনাক্ত করার জন্য নাগরিক সমাজ র্যাপিড টেস্ট পদ্ধতিতে বেশি সংখ্যায় করোনা পরীক্ষার জোর দাবি জানিয়েছে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘন্টায় ১৮৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে সার্বাধিক ১০৩ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। এর আগের ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৮৯ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। তার আগের ২৪ ঘণ্টায়ও ৯৪টি নমুনা পরীক্ষা করে ৫০ জনের করোনা শনাক্ত হয়।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্র জানায়, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১২০ শয্যার করোনা ইউনিট রয়েছে, পাশাপাশি রয়েছে আট শয্যার নিবিড় পরিচর্যা ইউনিট (আইসিইউ) এবং আট শয্যার হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ), কেন্দ্রীয় অক্সিজেন ব্যবস্থা, প্রয়োজনীয় হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলা (এইচএফএনসি)।
একইভাবে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে রয়েছে ৪০ শয্যার করোনা ইউনিট। কেন্দ্রীয় অক্সিজেন ব্যবস্থা চালুর কাজ চলছে। বড় ২৮টি ও ছোট ৭৪টি সিলিন্ডার রয়েছে। অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে রোগীদের পাইপ সিস্টেমের মাধ্যমে। তবে কোনো হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলা নেই। নেই ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক কুদরত-ই-খোদা বলেন, পরিস্থিতি একই রকম রয়েছে। এই হাসপাতালে রোববার রোগী ছিলো ৯৭ জন। সোমবার রোগী রয়েছে ৯৮ জন। ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ৩৬ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৫ জন।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ফয়সাল আহমেদ বলেন, শনিবার ও রোববার সদর হাসপাতালে রোগী ছিলেন ৪৬ জন, সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন ৮ জন।
সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন হুসাইন সাফায়াত বলেন, পরিস্থিতি অনেকটা স্থিতিশীল। মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে সোমবার সকালে রোগীর সংখ্যা ছিল ১৩৬। রোববার সকালে এ সংখ্যা ছিল ১৪৩। র্যাপিড টেস্টের ব্যাপারে সিভিল সার্জন বলেন, আগেই শ্যামনগর উপজেলায় র্যাপিড টেস্ট চালু করা হয়েছে। গতকাল কলারোয়ায় করা হয়েছে। দু’এক দিনের মধ্যে দেবহাটা ও কালীগঞ্জে র্যাপিড পরীক্ষা চালু করা হবে।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি