সাতক্ষীরায় কমেছে সংক্রমণের হার। গত ২৪ ঘন্টায় করোনা উপসর্গ নিয়ে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। এনিয়ে জেলায় ২৩ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মোট ৮৮ জন এবং করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন মোট ৬৮৪ জন।
এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় ১৪০ টি নমুনা পরীক্ষা করে ৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ২ দশমিক ১৪ শতাংশ। গত দেড় বছরের মধ্যে এটিই জেলার সর্বনিম্ন সংক্রমণের হার।
সামেক হাসপাতাল সূত্র জানায়, জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ করোনার নানা উপসর্গ নিয়ে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট ৫৩ জন রোগী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এর মধ্যে করোনা পজেটিভ কোন রোগী নেই। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৮ জন ও সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৮ জন। নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) ভর্তি আছে ৬ জন।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাঃ হুসাইন সাফায়াত জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে চারজন। এ সময় ১৪০ টি নমুনা পরীক্ষা করে ৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সামেক হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাবে ৫১ টি নমুনা পরীক্ষা করে ১ জনের ও সদর হাসপাতাল সহ বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে র্যাপিড এন্টিজেন কীটে ৮৯ টি নমুনা পরীক্ষা করে আরো ২ জনের করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ২ দশমিক ১৪ শতাংশ। এর আগের দিন শনাক্তের হার ছিল ৩ দশমিক ৪২ শতাংশ।
তিনি আরো বলেন, ২৩ সেপ্টম্বর পর্যন্ত সাতক্ষীরা জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬ হাজার ৮৪৩ জন। জেলায় মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৫৩২ জন। গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ্য হয়েছে ১২ জন। বর্তমানে জেলায় করোনা রোগী রয়েছে ২২৩ জন। এরমধ্যে হাসপাতালে ভর্তি করোনা রোগীর সংখ্যা ৭ জন। বাড়িতে হোম আইসোলেশনে আছেন ২১৬ জন। জেলায় ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে ৮৮ জন এবং উপসর্গে মারা গেছেন আরো ৬৮৪ জন।
সিভিল সার্জন আরো জানান, এপর্যন্ত জেলায় ৮৭ হাজার ৮২৬ জন এস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন। আর দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ৮০ হাজার ৬১ জন। এদিকে গত ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিনোফার্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ১ লক্ষ ৯১ হাজার ৩২ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ১ লক্ষ ১৭ হাজার ৫৯৪ জন। গত ২৪ ঘন্টায় জেলা সিনোফার্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৩ হাজার ৭১৯ জন ও দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ৫ হাজার ৮০৭ জন।
খুলনা গেজেট/ এস আই