সাতক্ষীরায় গত ২৪ ঘন্টায় করোনা উপসর্গ নিয়ে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। এনিয়ে জেলায় ১২ সেপ্টেম্বর (রোববার) পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মোট ৮৮ জন এবং করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন মোট ৬৬৬ জন।
করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত ব্যক্তিরা হলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভালুকাচাঁদপুর গ্রামের আবুল হোসেনের স্ত্রী মর্জিনা খাতুন (৬০) ও তালা উপজেলার মাগুরাডাঙ্গা গ্রামের মৃত সৈয়দ আলীর ছেলে মোঃ অবদুর রহমান (৬৫)।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ করোনা উপসর্গ নিয়ে গত ১০ ও ১১ সেপ্টেম্বর তারা সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১২ সেপ্টেম্বর ভোর রাত সাড়ে ৩টা ও সন্ধ্যা সোয়া ৭টার সময় তাদের মৃত্যু হয়।
সামেক হাসপাতাল সূত্র জানায়, জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ করোনার নানা উপসর্গ নিয়ে ১৩ সেপ্টেম্বর সোমবার পর্যন্ত মোট ৬১ জন রোগী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এর মধ্যে ১ জন করোনা পজেটিভ ও বাকি ৬০ জন সাসপেক্টেড। উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে দুই জন। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ১১ জন ও সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১২ জন। নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) ভর্তি আছে ৫ জন।
এদিকে সাতক্ষীরায় ফের বেড়েছে সংক্রমণের হার। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ১০ জনের করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। এ সময় মোট ১৯৩ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শনাক্তের হার ৫ দশমিক ১৮ শতাংশ। এর আগের দিন শনাক্তের হার ছিল ৩ দশমিক ২৫ শতাংশ।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাঃ হুসাইন সাফায়াত জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে দুই জন। এ সময় ১৯৩ টি নমুনা পরীক্ষা করে মাত্র ১০ জনের করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সামেক হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাবে ৯৪ টি নমুনা পরীক্ষা করে ৩ জনের ও সদর হাসপাতাল সহ বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে র্যাপিড এন্টিজেন কীটে ৯৯টি নমুনা পরীক্ষা করে আরো ৭ জনের করোনা পজেটিভ সনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ৫ দশমিক ১৮ শতাংশ।
তিনি আরো বলেন, ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সাতক্ষীরা জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬ হাজার ৭৭৫ জন। জেলায় মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ২৪২ জন। গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছে ২৪ জন। বর্তমানে জেলায় করোনা রোগী রয়েছে ৪৪৫ জন। এর মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি করোনা রোগীর সংখ্যা ১০ জন। বাড়িতে হোম আইসোলেশনে আছেন ৪৩৫ জন। জেলায় ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে ৮৮ জন এবং উপসর্গে মারা গেছেন আরো ৬৬৬ জন।
সিভিল সার্জন আরো জানান, গত ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেলায় ৮৭ হাজার ৭৯২ জন এস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন। আর দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ৮০ হাজার ৫৫ জন। এদিকে সিনোফর্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ১ লাখ ৬২ হাজার ৮০৮ জন ও দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ৭৪ হাজার ৮৬৬ জন।
খুলনা গেজেট/এনএম