সাতক্ষীরায় গত ২৪ ঘন্টায় করোনা উপসর্গ নিয়ে দুই নারীসহ তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। এনিয়ে জেলায় ১০ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মোট ৮৮ জন এবং করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন মোট ৬৬১ জন।
করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত ব্যক্তিরা হলেন, সাতক্ষীরা পাটকেলঘাট থানার মানিকহার গ্রামের গোলাম রহমানের স্ত্রী লতিফুননেচ্ছা (৭৫), শহরের পুরাতন সাতক্ষীরা এলাকার মাহফুজুল ইসলামের স্ত্রী সালমা পারভীন (৩৫) ও তালা উপজেলার বাউখোলা গ্রামের বসন্ত অধিকারীর ছেলে অমল অধিকারী (৬৫)।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ করোনা উপসর্গ নিয়ে গত ৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ সেপ্টেম্বর তারা সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ সেপ্টেম্বর ভোর রাত পৌনে ১টা থেকে সকাল ৮টার মধ্যে বিভিন্ন সময় তাদের মৃত্যু হয়।
সামেক হাসপাতাল সূত্র জানায়, জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ করোনার নানা উপসর্গ নিয়ে ১১ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) পর্যন্ত মোট ৬১ জন রোগী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এর মধ্যে ২ জন করোনা পজেটিভ ও বাকি ৫৯ জন সাসপেক্টেড। উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে তিন জন। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ১০ জন ও সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৪ জন। নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) ভর্তি আছে ৫ জন।
এদিকে সাতক্ষীরায় ফের কমেছে সংক্রমণের হার। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ৬ জনের করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। এ সময় মোট ৯৪ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শনাক্তের হার ৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ। এর আগের দিন শনাক্তের হার ছিল ৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাঃ হুসাইন সাফায়াত জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে তিন জন। এ সময় সামেক হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাবে ৯৪টি নমুনা পরীক্ষা করে ৬ জনের করোনা পজেটিভ সনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
তিনি আরো বলেন, ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সাতক্ষীরা জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬ হাজার ৭৬১ জন। জেলায় মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ১৯৫ জন। গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছে ২৪ জন। বর্তমানে জেলায় করোনা রোগী রয়েছে ৪৭৮ জন। এর মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি করোনা রোগীর সংখ্যা ১২ জন। বাড়িতে হোম আইসোলেশনে আছেন ৪৬৬ জন। জেলায় ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে ৮৮ জন এবং উপসর্গে মারা গেছেন আরো ৬৬১ জন।
সিভিল সার্জন আরো জানান, গত ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেলায় ৮৭ হাজার ২২৪ জন এস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন। আর দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ৮০ হাজার ২৯ জন। এদিকে সিনোফার্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ১ লাখ ৬২ হাজার ৮০৫ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ৭৪ হাজার ৪০৯ জন।
খুলনা গেজেট/এনএম