সাতক্ষীরায় কমেছে করোনা সংক্রমণের হার। এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় করোনা উপসর্গে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৯ ফেব্রুয়ারি তাদের মৃত্যু হয়। এনিয়ে জেলায় ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৯১ জন এবং করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন মোট ৮৩৬ জন।
করোনা উপসর্গে মৃত ব্যক্তিরা হলেন, সাতক্ষীরার শহরের উত্তর কাপিয়া এলাকার আনিচ উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে আবুল কাশেম(৬০) ও কালিগঞ্জ উপজেলার পানিয়া ওবায়দুরনগর গ্রামের মৃত নাটা সানার ছেলে সুরত আলী সানা (৭৫)।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ করোনার নানা উপসর্গ নিয়ে গত ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি তারা সামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৯ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা ও রাত সোয়া ৮টায় তারা মারা যান।
গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ২ জন করোনা পজেটিভ হয়েছে। এসময় র্যাপিড এন্টিজেন কীট ৩৫ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৭১ শতাংশ। এর আগে শনাক্তের হার ছিল ১৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
সামেক হাসপাতাল সূত্র জানায়, জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ করোনার নানা উপসর্গ নিয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে মোট ৩১ জন রোগী। এর মধ্যে ৮ জনের করোনা পজেটিভ ও বাকি ২৩ জন সন্দেহজনক (সাসপেক্টেড)। নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) ভর্তি আছে ৮ জন।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাঃ হুসাইন সাফায়াত জানান, গত ২৪ ঘন্টায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে র্যাপিড এন্টিজেন কীটে ৩৫টি নমুনা পরীক্ষা করে আরো ২ জনের করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৭১ শতাংশ। এদিন মেডিকেল কলেজ (সামেক) হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাবে কোন নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, জেলায় ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৭ হাজার ৮৯৩ জন। জেলায় মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ৪৯৯ জন। গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ্য হয়েছে ২৪ জন। বর্তমানে জেলায় করোনা রোগী রয়েছে ৩০৩ জন। এরমধ্যে হাসপাতালে ভর্তি করোনা রোগীর সংখ্যা ৮ জন। বাড়িতে হোম আইসোলেশনে আছেন ২৯৫ জন। জেলায় প্রথম থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৯১ জন এবং উপসর্গে মারা গেছেন আরো ৮৩৬ জন।
সিভিল সার্জন আরও জানান, সাতক্ষীরা জেলায় এপর্যন্ত প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে ১৪ লক্ষ ৪২ হাজার ৬৪ জনকে। দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে ১১ লক্ষ ৮২ হাজার ৩৬৬ জনকে এবং তৃতীয় ডোজ ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়েছে ৩৯ হাজার ৮৩৭ জনকে।