সাতক্ষীরায় গত ২৪ ঘন্টায় করোনা উপসর্গ নিয়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এনিয়ে জেলায় ৭ অক্টোবর পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮৮ জন এবং করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন মোট ৭০৯ জন। নতুন করে দুইজন করোনা আক্রান্ত হয়েছে।
করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত ব্যক্তি হলেন, সাতক্ষীরার তালা উপজেলার আটরাই গ্রামের মৃত আক্কাজ আলীর ছেলে আবদুর রহমান (৭০)।
সামেক হাসপাতাল সূত্র জানায়, জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ করোনার নানা উপসর্গ নিয়ে গত কয়েকদিন আগে সামেক হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ অক্টোবর তিনি মারা যান।
আরো জানা যায়, গত ৮ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ৩৬ জন রোগী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এর মধ্যে করোনা পজেটিভ কোন রোগী নেই। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৭ জন ও সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১৪ জন। নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) ভর্তি আছেন ৬ জন। করোনা উপসর্গে মারা গেছে এক জন।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাঃ হুসাইন সাফায়াত জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে একজন। এ সময় ৭৮ টি নমুনা পরীক্ষা করে ২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সামেক হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাবে ৩৯ টি নমুনা পরীক্ষা করে ১ জনের ও সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে র্যাপিড এন্টিজেন কীটে সমান সংখ্যাক নমুনা পরীক্ষা করে আরো ১ জনের করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ২ দশমিক ৫৬ শতাংশ। এর আগের দিন শনাক্তের হার ছিল ৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
তিনি আরো বলেন, ৭ অক্টোবর পর্যন্ত সাতক্ষীরা জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬ হাজার ৮৬২ জন। জেলায় মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৬৫১ জন। গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছে ৫ জন। বর্তমানে জেলায় করোনা রোগী রয়েছে ১২৩ জন। বাড়িতে হোম আইসোলেশনে আছেন ১২৩ জন। হাসপাতালে কোন করোনা রোগী ভর্তি নেই। জেলায় ৭ অক্টোবর পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে ৮৮ জন এবং উপসর্গে মারা গেছেন আরো ৭০৯ জন।
সিভিল সার্জন আরো জানান, এপর্যন্ত জেলায় ৮৭ হাজার ৮২৬ জন এস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন। আর দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ৮০ হাজার ৬১ জন। এছাড়া সিনোফার্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ৩ লক্ষ ৯৯ হাজার ৭২ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ১ লক্ষ ৫১ হাজার ৭৭৭ জন। জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় সিনোফার্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ৮ হাজার ৫৭০ জন ও দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ৫১২ জন।
খুলনা গেজেট/ এস আই