সাতক্ষীরায় গত ২৪ ঘন্টায় করোনা উপসর্গ নিয়ে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সামেক) হাসপতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এনিয়ে জেলায় ৩১আগষ্ট মঙ্গলবার পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মোট ৮৮ জন এবং উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরো ৬৩৮ জন।
করোনা উপসর্গে মৃত ব্যক্তি হলেন, সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বড়দল গ্রামের হৃদয় মন্ডলের স্ত্রী চুমকি মন্ডল (৩২)। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ করোনার নানা উপসর্গ নিয়ে ২৯ আগষ্ট তিনি সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩১ আগষ্ট ভোর রাত ২টা ১০মিনিটের সময় তিনি মারা যান।
সামেক হাসপাতাল সূত্র জানায়, জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ করোনার নানা উপসর্গ নিয়ে ১ সেপ্টেম্বর বুধবার পর্যন্ত মোট ১০২ জন রোগী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এর মধ্যে ২ জন করোনা পজেটিভ ও বাকি ১০০ জন সাসপেক্টেড। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৭জন ও সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১৩ জন। নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) ভর্তি আছে ৮ জন।
এদিকে সাতক্ষীরায় কমেছে সংক্রমণের হার। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ১৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ সময় মোট ২৫৪ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শনাক্তের হার ৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ। এর আগের দিন শনাক্তের হার ছিল ৭ দশমিক ৭ শতাংশ।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাঃ হুসাইন সাফায়াত জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে একজন মারা গেছে। এ সময় সামেক হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাবে ১০৫ টি নমুনা পরীক্ষা করে ৬ জনের এবং সদর হাসপাতাল সহ বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে র্যাপিড এন্টিজেন কীটে ১৪৯ টি নমুনা পরীক্ষা করে আরো ১১ জনের করোনা পজেটিভ সনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
তিনি আরো বলেন, মঙ্গলবার ৩১ আগষ্ট পর্যন্ত সাতক্ষীরা জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬ হাজার ৬৪৫ জন। জেলায় মোট সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৯৫২ জন। গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ্য হয়েছে ২৯ জন। বর্তমানে জেলায় করোনা রোগী রয়েছে ৬০৫ জন। এরমধ্যে হাসপাতালে ভর্তি করোনা রোগীর সংখ্যা ১০ জন। বাড়িতে হোম আইসোলেশনে আছেন ৫৯৫ জন। জেলায় ৩১ আগষ্ট পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে ৮৮ জন এবং উপসর্গে মারা গেছেন আরো ৬৩৮ জন।
সিভিল সার্জন আরো জানান, গত ৩১ অগষ্ট পর্যন্ত জেলায় ৮৩ হাজার ৭৪৭ জন এস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন। আর দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ৭৯ হাজার ৭১৪ জন। এদিকে সেনোফর্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ১ লক্ষ ১৪ হাজার ৫৩৩ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ২৭ হাজার ৭৫ জন।
খুলনা গেজেট/কেএম