সাতক্ষীরার তালা উপজেলার খলিষখালী ইউনিয়নের ছোটগাছা গ্রামে একই পরিবারের ৫ জনকে ধারালো দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্বক আহত করেছে ওই বাড়ির জামাই।
রিববার (১৩ মার্চ) রাত ৩ টার দিকে এঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাসস্থল থেকে দা সহ জামাই দেবাশীষ ঢালীকে আটক করেছে।
জামাই দেবাশীষ ঢালী (৩৫) খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার খোরেরআবাদ গ্রামের জগদীশ ঢালির ছেলে।
স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য পঙ্কজ রায় জানান, ৮-১০ বছর পূর্বে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার খোরেরআবাদ গ্রামের জগদীশ ঢালির ছেলে দেবাশীষ ঢালির সাথে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা থানার ছোটগাছা পঞ্চরাম বাছাড়ের মেয়ে পুস্প ঢালির বিয়ে হয়। তাদের বর্তমানে একটি সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে সাংসারে টুকিটাকি বিষয় নিয়ে প্রায় তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকতো। গত কয়েক দিন আগে মেয়েকে জোর করে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দেয় তার স্বামী দেবাশীষ।
এদিকে স্ত্রীর অন্যের সাথে অবৈধ সম্পর্ক আছে এমন সন্দেহের জেরে শনিবার রাত ১১ টার দিকে দেবাশিষ ঢালী তালা উপজেলার গাছা বাজারে আসে। পরে রিববার রাত ৩ টার দিকে সে শশুর পঞ্চরাম বাছাড়ের বাড়িতে ঢুকে। এক পর্যায়ে সে নিজের স্ত্রী পুস্প ঢালী (২২), শ্বশুর পঞ্চরাম বাছাড় (৫০), শাশুড়ী তপতি বাছাড় (৪২), দাদা শ্বশুর ভোলা নাথ বাছাড় (৭৫) ও বৈদ্যনাথ বাছাড় (৪০) কে গাছ কাটা দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। এ সময় তাদের আত্মচিৎকারে এলাকাবাসি ছুটে এসে জামাই দেবাশিষ ঢালীকে দা সহ আটক করে দড়ি দিয়ে বেধে ফেলে এবং পুলিশ কে খবর দেয়। খবর পেয়ে পাটকেলঘাটা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে জামাই দেবাশিষকে দা সহ আটক করে।
আহতদের চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল সহ স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে পঞ্চরাম বাছাড়ের শারিরিক অবস্থার অবনতি হলে সকাল তাকে খুমেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এ রিপোট লেখা পর্যন্ত ঐ এলাকা থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
পাটকেলঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায় জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
খুলনা গেজেট/এএ