ঈদের আগেই সাতক্ষীরায় মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসাবে জমিসহ ঘর পাচ্ছেন জেলার ২৪০জন গৃহহীন ভূমিহীন পরিবার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে অনুষ্ঠানিক ভাবে বাস্তহারা, ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষকে দেওয়া এই বাস গৃহ হস্তান্তর করবেন। এজন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন সাতক্ষীরা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) তানজিল্লুর রহমান।
“বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবেনা” প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘোষিত এ নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছে। সাতক্ষীরা জেলার ৭টি উপজেলার বাস্তহারা, ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসনে তালিকা প্রস্তুত করা হয়।
এই তালিকার মধ্যে সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় বরাদ্দ হয়েছে ১১৫ টি, শ্যামনগরে ১৮৯ টি, দেবহাটায় ৮৫ টি, কলারোয়ায় ১৪০টি, কালিগঞ্জ ১১৫টি, সদর উপজেলায় ৮৫টি, এবং আশাশুনিতে ১৪৭টি। তবে বরাদ্দকৃত ঘরগুলোর মধ্যে নির্মান সম্পন্ন হয়েছে তালায় ১৫টি, শ্যামনগরে ৮৫টি, দেবহাটায় ৫টি, কলারোয়ায় ২০টি, কালিগঞ্জে ২৫টি, সদরে ৪৩ টি এবং আশাশুনিতে ৪৭টি। তৃতীয় পর্যায়ে ৮০৯টি বরাদ্দকৃত গৃহের কার্যক্রম চলমান আছে। প্রতিটি ঘরের নির্মাণ খরচ ২ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। যা দ্বিতীয় পর্যায়ে ছিল ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা ও প্রথম পর্যায়ে ছিল ১লাখ ৭১ হাজার টাকা।
জানা গেছে, প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের তুলনায় তৃতীয় ধাপে কাঠামোতে আসছে বেশ পরিবর্তন। বাড়ানো হয়েছে নির্মাণ ব্যয়। যে কারণে ঘরগুলো মজবুত ও দীর্ঘস্থায়ী হবে। দুই শতাংশ জমির মালিকানাসহ সেমিপাকা ঘর করে দেওয়া হয়েছে তাদের। এর সঙ্গে রান্নাঘর ও টয়লেট ছিল। আঙিনায় হাঁস-মুরগি পালন ও শাক-সবজি চাষেরও জায়গা ছিল। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর নির্মান সম্পন্ন হওয়া বাকি ঘরগুলো তালিকাভূক্তদেরকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
আগামীকাল ২৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারা দেশব্যাপি গৃহ হস্তান্তরের কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এসময় দেশব্যাপি ৩২ হাজার ৯০৪ জন বাস্তহারা, ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষকে দেওয়া হবে প্রধানমন্ত্রীর এই উপহারের জমিসহ ঘর।
খুলনা গেজেট/ এস আই