সাতক্ষীরায় এক আওয়ামীলীগ নেতার মালিকানাধীন হোটেল ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর বাজারের সাহেববাড়ি মোড়ে এঘটনা ঘটে। এঘটনায় ঘর মালিক সদর উপজেলার ধুলিহর গ্রামের মৃত শেখ আনোয়ার হোসেনের ছেলে ধুলিহর ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি শেখ বোরহান উদ্দীন বাদি হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
বাদির লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, সাতক্ষীরার সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর মৌজার ২৫৯০ খতিয়ানের ৮৪৭৭ দাগে সাহেববাড়ি মোড় এলাকায় প্রাচীর দিয়ে ঘেরা ৪ শতক জমিতে একটি ঘর নির্মাণ করে দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপূর্ন ভোগদখল করে আসছেন। ক্রয়সূত্রে তিনি ওই জমির মালিক। কিছুদিন আগে তিনি ওই ঘরটি ধুলিহর সানা পাড়া এরাকার মৃত মোহাম্মাদ আলী গাজীর ছেলে মোঃ সবুজ গাজীর কাছে হোটেল হিসাবে ব্যবহারের জন্য ভাড়া দিয়েছেন। নিয়মিত ভাড়া পরিশোধ পূর্বক সবুজ সেখানে খাওয়ার হোটেল করে ব্যবসা পরিচালনা করছে। কিন্তু সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল এলাকার মৃত আব্দুস সামাদ সানার দুই ছেলে মোঃ মাসুদ আহম্মেদ ও মোঃ মাহমুদ আহম্মেদ এর আমার ওই ঘরের উপর নজর পড়ে। তারা ঘর ভেঙ্গে দিয়ে ওই জমি দখলের জন্য বিভিন্নভাবে পায়তারা ও ষড়যন্ত্র করতে থাকে। বেশ কয়েকদিন আগে তারা আমার জমি জবর দখল করাসহ আমাকে বিভিন্ন ধরনে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করলে আমি ১৮ এপ্রিল সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করি। (জিডি নং-১১২০)। থানায় জিডির বিষয়টি জানতে পেরে মাসুদ গংরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।
এঘটনার জের ধরে বুধবার ২০ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মাসদু ও তার ভাই মাহমুদ সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৭/৮ জন লোহার রড, শাবল, বাঁশের লাঠি ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে উক্ত হোটেল ঘরে ঢুকে ভিতওে থাকা বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাংচুর করতে থাকে। বাধা দিতে এগিয়ে গেলে হোটেল মালিক সবুজ গাজীকে ব্যাপক মারপিট করে জখম করে। এসময় তারা হোটেলের আসবাবপত্র সহ ঘরের দরজা ভাংচুর করে নগদ টাকা লুট সহ প্রায় এক লক্ষ টাকার মালামাল ক্ষতিসাধন করে। ঘটনা জানতে পেরে পাশ্ববর্তী লোকজন এগিয়ে গেলে মাসুদ গংরা বাদিকে উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে চলে যায়।
সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম কবির বলেন, এঘটনায় বোরহান উদ্দীন ও তার পতিপক্ষ উভয় থানায় পৃথক লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ঘটনার সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।