ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা ও জাঁকজমকপূর্ণভাবে সাতক্ষীরার ৩শ’ বছরের ঐতিহ্যবাহী গুড়পুকুরের মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে জেলা প্রশাসন ও সাতক্ষীরা পৌরসভা আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির এঁর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোঃ সজীব খান, সাতক্ষীরা পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কাজী আরিফুর রহমান, পৌর কাউন্সিলর কাজী ফিরোজ হাসান, শফিক উদ-দৌলা-সাগর, শফিকুল আলম বাবু, পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ মারুফ হাসান, মহিলা কাউন্সিলর নুরজাহান বেগম নুরী, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক শেখ মুসফিকুর রহমান মিল্টন, মেলা কমিটির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মানিক শিকদার প্রমুখ।
প্রধান অতিথি এমপি রবি বলেন, “দীর্ঘ ২ বছর পর ব্যাপক পরিসরে এই ঐতিহ্যবাহী গুড়পুকুরের মেলাটি আবার শুরু হল। এই মেলাটি এ জেলার ঐহিত্য বহন করে চলেছে।
আমরা ছোটবেলা থেকে এ মেলা দেখে আসছি। আগে এই মেলাটি শহর জুড়ে হতো। দেশী বিদেশী বহু মানুষের আনা গোনা হতো এই মেলায়। গুড়পুকুরের মেলার আজকের এই উদ্বোধন দেখে মনে হচ্ছে আগের রুপে ফিরে এসেছে গুড়পুকুরের মেলা।
এবারের মেলায় শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কের পুরো জায়গা জুড়ে থাকছে প্রায় ২০০টি মনোহারি পণ্যের স্টল। রয়েছে নাগর দোলা, ঘোড়ার গাড়ি। এছাড়া লৌহজাতদ্রব্য, বাঁশ ও বেতের দোকান, নার্সারি দোকান প্রভৃতি। মেলায় আগতদের বিনোদনের জন্য রয়েছে শিল্পকলা একাডেমির সামনে নাগরদোলা ও রেলগাড়ি ও নৌকা। তাছাড়াও রয়েছে নানা বয়সী মানুষের জন্য বিনোদন। তবে এবারের মেলায় জুয়া, হাউজি, লটারি, র্যাফেল ড্র, লাকি কুপন, ফড়, চরকি, এবং অননুমোদিত যাত্রাগান, পুতুল নাচ বন্ধ থাকবে। প্রাথমিক পর্যায়ে মেলা চলবে মাসব্যাপী।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর মেলা চলাকালীন সার্কাস প্যান্ডেলে এবং সাতক্ষীরার রকসি সিনেমা হলে জঙ্গীরা বোমা হামলা চালায়। বোমা হামলায় নিহত হয় ৩ জন। আহত হয় অর্ধশতাধিক। এর পর থেকে মেলায় বহিরাগত ব্যবসায়ীদের আসা অনেকটা কমে যায়। করোনার পরবর্তী দীর্য় ২ বছর পর মেলা জাঁকজকমভাবে উদ্বোধন করা হল।