সাতক্ষীরাস্থ বিজিবি ৩৩ ব্যাটলিয়নের অওতাধীন তলুইগাছা, মাদরা ও ভোমরা বিওপি’র সদস্যরা পৃথক অভিযানে অবৈধভাবে ভারত হতে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় ৬ জন বাংলাদেশী নাগরিক এবং একজন মানব পাচারকারীকে আটক করেছে। মঙ্গলবার (৮ জুন) সদর উপজেলার তলুইগাছা ও ভোমরা এবং কলারোয়ার মাদরা সীমান্ত থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃত ব্যক্তিরা হলো, মাদারীপুর জেলার রাজৈর থানার টেকেরহাট গ্রামের হাসানের ছেলে মোঃ সাজিদ (৪৫), নড়াইল জেলার কালিয়া থানার সদর গ্রামের অজাহার মোল্যার ছেলে মোঃ আব্দুল্লাহ (২৮), একই থানার কলসি গ্রামের মৃত আতিয়ার রহমানের ছেলে রুহুল কাজী (৬৩), নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানার দিঘুলিয়া গ্রামের মৃত ইউসুফ মোল্যার স্ত্রী মোছাঃ রহিমা বেগম (৪৫) যশোরের মনিরামপুর থানার সদর গ্রামের তকব্বর মোল্যার স্ত্রী মোছাঃ আয়রা বেগম (৫৫), পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর থানার রঘুনাথপুর গ্রামের মৃত গগন খানের ছেলে মোঃ মঞ্জুর খান (২৮) এবং মানব পাচারকারী সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার কেড়াগাছি গ্রামের মোঃ মুর্শিদ আলীর ছেলে মোঃ মোফাজ্জল (৩৫)।
বিজিবি সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাতক্ষীরাস্থ বিজিবি ৩৩ ব্যাটলিয়নের অওতাধীন তলুইগাছা, মাদরা ও ভোমরা বিওপি’র টহল দলের সদস্যরা অবৈধ ভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশের আসার পথে তাদের দায়িত্বপর্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৬ জন বাংলাদেশী নাগরিক এবং একজন মানব পাচারকারীকে আটক করে। আটককৃত বাংলাদেশী নাগরিকদেরকে জেলা প্রশাসন, সাতক্ষীরার তত্ত্বাবধানে সদর উপজেলার পদ্মশাখরা প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়ীয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থাপিত কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে প্রেরণ করা হয়েছে। আটককৃত মানব পাচারকারীকে কলারোয়া থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
সাতক্ষীরাস্থ বিজিবি ৩৩ ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোহাম্মদ আল-মাহমুদ, পিএসসি ৬ জন বাংলাদেশী নাগরিক ও একজন মানব পাচারকারীকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কোয়ারেন্টাইন শেষে আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় সোপর্দ করা হবে।
তিনি আরো বলেন, গত ২৮ এপ্রিল হতে ৮ জুন পর্যন্ত তার দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় কঠোর নজরদারী, টহল তৎপরতা এবং বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে অবৈধভাবে ভারত হতে বাংলাদেশে আসার পথে মোট ৪৫ জন বাংলাদেশী নাগরিক এবং ৩ জন মানব পাচারকারী আটক করা হয়েছে। লক ডাউন চলাকালীন জেলা প্রশাসন কর্তৃক জারীকৃত নির্দেশাবলী সীমান্তবর্তী এলাকায় বাস্তবায়নের জন্য বিজিবি’র জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
খুলনা গেজেট/এমএম