সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অনুকূলে আহূত ৭ কোটি টাকার ওষুধ ও সরঞ্জাম ক্রয় বিষয়ক দরপত্র (শিডিউল) গ্রহণের একদিন পর তার স্থগিত করা হয়েছে। দরপত্র ক্রয়ে মারামারি, কাড়াকাড়ি, হাতাহাতি এবং কাগজপত্র ছেড়াছেড়ির ঘটনায় বিব্রত হয়ে হাসপতাল কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার দরপত্র সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম স্থগিত করেন। দরপত্র কার্যক্রম স্থগিত করার কথা জানিয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক বলেন পরিবেশ স্বাভাবিক হলে ফের কার্যক্রম চালু হবে।
উল্লেখ্য, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অনুকূলে ওষুধপত্র, প্যাথলজিক্যাল সরঞ্জাম এবং অন্যান্য সরঞ্জাম ক্রয়ে ৭ কোটি টাকার বরাদ্দ দিয়ে দরপত্র আহবান করা হয়। বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) দরপত্র ক্রয়ের সর্বশেষ দিন ছিল। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর তা জমা দেওয়ার কথা ছিল। নির্ধারিত দিনে মোট ১৫টি দরপত্র বিক্রি করা হয়।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. কুদরত ই খুদা জানান, এই দরপত্র ক্রয় নিয়ে আগ্রহী ঠিকাদারদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ফ্যাসাদ লক্ষ্য করা গেছে। তারা হইহুল্লোড় এমনকি হাতাহাতি করে কাগজপত্র ছিড়ে ফেলতে শুরু করেন। এই বিশৃঙ্খল অবস্থার মধ্যে তারা কেউ কেউ বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের আশীর্বাদপুষ্ট বলে দরপত্র ক্রয়ের চেষ্টা করেন। এতে বিশৃংখলার সৃষ্টি হয়। এ কারণে বৃহস্পতিবার দরপত্র সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, পরিবেশ স্বাভাবিক হলে ফের কার্যক্রম চালু হবে।
প্রসঙ্গতঃ প্রায় ৭ কোটি টাকার কাজ পাইয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে একটি প্রভাবশালী মহল বুধবার দরপত্র ক্রয়ে ঠিকাদারদের বাধার সৃষ্টি করেন বলে অভিযোগ ওঠে। পুলিশের উপস্থিতিতে ওই মহলটি তাদের পছেন্দের লোককে কাজ পাইয়ে দেয়ার লক্ষ্যে অন্য ঠিকাদারদের দরপত্র ক্রয়ে বাধা দিয়ে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিশৃংখলা সৃষ্টি করে।
এসময় তারা দরপত্র বিক্রি কার্যক্রমকে জিম্মী করে ফেলে। এমনকি তাদের পছন্দের লোকের বাইরে কাউকে শিডিউল কিনতে বাধা দেওয়া হয়। ফলে দরপত্রে অংশগ্রহণে আগ্রহী ঠিকাদাররা এই শিডিউল ক্রয় করতে না পেরে ফিরে যান।
বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় রিপোর্ট ছাপা হয়। এই বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী সাতক্ষীরার সর্বত্রই আলোচনা চলে। এরই এক পর্যায়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. কুদরত ই খুদা এই দরপত্র কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত ঘোষণা করে।
খুলনা গেজেট/ এস আই