একমাত্র টেস্টের সংক্ষিপ্ত স্কোর (দ্বিতীয় দিন): বাংলাদেশ- প্রথম ইনিংসে ৩৬ ওভারে ১৬৮/৩ (সাকিব আল হাসান ৭৩*, মুশফিকুর রহিম ৫২*; তামিম ইকবাল ২১, মুমিনুল হক ১৭, নাজমুল হোসেন শান্ত ০)।
আয়ারল্যান্ড- প্রথম ইনিংসে ৭৭.২ ওভারে ২১৪/১০ (বেন হোয়াইট ০*, গ্রাহাম হিউম ২*; হ্যারি টেক্টর ৫০, কার্টিস ক্যাম্ফার ৩৪, মার্ক অ্যাডায়ার ৩২, ম্যাকব্রিন ১৯, অ্যান্ডি বালবির্নি ১৬, জেমস ম্যাককলাম ৭, মারে কমিন্স ৫, পিটার মুর ১)।
সাকিব দ্রুত গতিতে খেলে ফিফটি তুলে নিলেও জুটি গড়ার পথে ধীর গতিতে খেলেছেন মুশফিক। সাকিব যেখানে ৪৫ বলে ফিফটির দেখা পেয়েছেন, মুশফিক ফিফটি পেয়েছেন ৬৯ বলে। তাতে এই জুটিতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় দিন ইনিংসের নিয়ন্ত্রণ নিতে পেরেছে বাংলাদেশ।
সাকিবের হাফসেঞ্চুরি
শুরুতে উইকেট হারানোর চাপ দারুণভাবে সামাল দিয়েছেন সাকিব-মুশফিক। ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট করে ৫০ রানের জুটি গড়তে খেলেছেন ৫৪ বল। তুলনায় সাকিব ছিলেন বেশি আক্রমণাত্মক। ৪৫ বলে তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের ৩১তম হাফসেঞ্চুরিও। তাদের জুটিতে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে স্বাগতিক দল।
দিনের তৃতীয় ওভারেই ফিরলেন মুমিনুল
তাইজুলের দুর্দান্ত বোলিংয়ে আয়ারল্যান্ডকে প্রথম ইনিংস বেশি বড় করতে দেয়নি বাংলাদেশ। সফরকারী দল একমাত্র টেস্টের প্রথম দিন ২১৪ রানে থেমেছে। তার পর ব্যাট হাতে দিনের শেষটা পুরোপুরি স্বস্তি নিয়ে শেষ করতে পারেনি স্বাগতিক দল। দ্রুত দুই ওপেনারকে হারিয়েছে। মাত্র ২ রানে প্রথম উইকেট পড়েছে বাংলাদেশের। নাজমুল হোসেন শান্ত গোল্ডেন ডাকে ফিরেছেন। মুমিনুল হককে নিয়ে তামিম ইকবাল দিন শেষ করে আসতে পারতেন। কিন্তু বাঁহাতি ওপেনার শেষ বলে আউট হওয়ায় অস্বস্তি নিয়ে মাঠ ছেড়েছে তারা। তাতে ভেঙেছে ৩২ রানের জুটি। তামিম ২১ রানে আউট হয়েছেন।
গতকাল ১২ রান নিয়ে ব্যাট করছিলেন মুমিনুল। দেখার ছিল প্রথম দিন ৩৪ রানে ২ উইকেট হারানো বাংলাদেশ দ্বিতীয় দিন শুরুটা কেমন করে। দেখা গেলো তিন ওভারও স্থায়ী হয়নি মুমিনুলের প্রতিরোধ। ১২.৪ ওভারে মার্ক অ্যাডায়ারের লেগ স্টাম্প বরাবর করা ফুলার লেংথের ডেলিভারি একটু সরে খেলতে গিয়েছিলেন। ফলাফল উপড়ে যায় মুমিনুলের লেগ স্টাম্প! ফেরার আগে ৩৪ বলে ১৭ রান করেন তিনি।
খুলনা গেজেট/এনএম