দীর্ঘ সময় পার হলেও বাজারে নিত্যপণ্যের দাম চড়াই থেকে গেছে। চাল, আলু, ভোজ্য তেল, পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের দাম লাগামছাড়া। সরকারের নানা পদক্ষেপের কথা শুনলেও বাজারে তার কোন প্রভাব পড়েনি বরং দাম বেড়েছে।
খুলনা নগরীর নিরালা বাজারে সরু মিনিকেট চাল প্রতি কেজি ৬০ টাকা এবং মান ভেদে নাজিরশাইল কেজিতে ৫৬-৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি মানের মিনিকেট প্রতি কেজি ৫২-৫৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভালো মানের মোটা চালের দাম ৪৮ থেকে ৫০ টাকায় স্থিতিশীল রয়েছে।
বড় বাজারের চালের আড়তের বিক্রেতা জয়নাল আবেদিন খুলনা গেজেটকে বলেন, সরু মিনিকেট চালের দাম গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে ১/২ টাকা বেড়েছে।
একটি বেসরকারি ঔষধ কোম্পানিতে কাজ করেন মোঃ শামীম হোসেন। তিনি বলেন, চালের মূল্য বাড়লে আমাদের মত কম আয়ের মানুষের জীবন পরিচালনা কঠিন হয়ে যায়।
নগরীর খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, কেজি প্রতি আলু ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাইকারী বাজারে কেজি প্রতি আলু ৪২/৪৩ টাকা। অথচ সরকার গত ২০ অক্টোবর প্রতি কেজি আলু খুচরা পর্যায়ে ৩৫ টাকা এবং পাইকারি ৩০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছিল, তবুও বাজারে আলুর দাম কমেনি।
ক্রেতা জুলফিকার আলী বলেন, এভাবে এতদিন ধরে আলুর দাম বাড়তি, অথচ কারো কোন মাথাব্যাথা নেই। আমাদের ব্যয় নির্বাহ করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৯০-৯৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দু’একটা দোকানে আমদানিকৃত পেঁয়াজ ৪৫-৫০ টাকা দরে বিক্রি হলেও বাজারে তার সরবরাহ একেবারেই অপর্যাপ্ত। ফলে বাধ্য হয়েই ক্রেতাদের উচ্চ মূল্যে দেশি পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে।
বাজারে ভোজ্যতেলের দাম গেল কয়েক দিনের তুলনায় বেশি। গল্লামারী বাজারে খোলা সয়াবিন তেল প্রতি কেজি ১১০-১১২ টাকা ও বোতলজাত সয়াবিন তেল ১১০ টাকা লিটার বিক্রি হতে দেখা যায়। অথচ দুই মাস আগেও খোলা সয়াবিন তেল ৮৩/৮৪ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
এদিকে আলুর বাড়তি দামের মধ্যেও টিসিবি খুলনায় খোলা বাজারে আলু বিক্রি করেনি। ভোজ্য তেল, ডাল, চিনি,আটা বিক্রি করলেও দীর্ঘ দিন তা বন্ধ ছিল। ফলে সাধারণ মানুষকে আরও বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। যদিও সোমবার থেকে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) খুলনায় ৩০ টাকা দরে পেঁয়াজ, ৮০ টাকা দরে ভোজ্যতেল ও ৫০ টাকা দরে ডাল বিক্রি শুরু করেছে। তবে খুলনায় আলু বিক্রির বিষয়ে এখনো কোন সিদ্ধান্তের কথা জানা যায়নি।
খুলনা গেজেট/কেএম