বিএনপির ওপর নির্বিচারে হামলা ও জীবন কেড়ে নিতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে এমন অভিযোগ করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘জনগণের প্রতিবাদ-বিক্ষোভে দিশেহারা হয়ে মানুষ হত্যার মতো হঠকারী সিন্ধান্ত নিয়ে সরকার পুরো দেশে এক ভয়ের সংস্কৃতি চালু করেছে। এর দায়-দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে সরকারকেই বহন করতে হবে। সরকার দুঃশাসন চালু করে মূলত জনগণের প্রতি প্রতিশোধ নিচ্ছে।’
ভোলায় গুলিবিদ্ব জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরে আলমের ঢাকার কমফোর্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বুধবার মৃত্যুবরণের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং এই হত্যাকান্ডে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান বিএনপি মহাসচিব।
বিবৃতিতে ফখরুল বলেন, ‘ভোট ডাকাতির মাধ্যমে বর্তমান আওয়ামী সরকার রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে এক ভয়ঙ্কর দুঃশাসন প্রতিষ্ঠা করেছে। মানুষের কথা বলা, মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে হরণ করে এক নির্বাক রাষ্ট্র সমাজ গঠনের আয়োজন করেছে। ভোলায় বিএনপি’র শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর গুলি করে হত্যা সরকারের এক অশুভ পরিকল্পনার অংশ। বিদ্যূৎ, জ্বালানী ও সার সহ ভয়াবহ আর্থিক সংকটকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য মানুষের চোখকে অন্যদিকে সরাতে গত ৩১ জুলাই আব্দুর রহিম এবং গুরুতর আহত নুরে আলম এর আজকে মৃত্যু এই দুটি হত্যাকাণ্ডই সুপরিকল্পিত।
ফখরুল বলেন, ‘বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে স্তব্ধ করে দিতেই ভোলায় বিএনপির দুজন বলিষ্ঠ নেতাকে হত্যা করা হলো। জনস্বার্থে বিএনপি’র শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে এধরণের বর্বরোচিত হামলার মাধ্যমে দুটি তাজা প্রাণ কেড়ে নেয়ার ঘটনা বিশ্ববিবেককে নাড়া দিয়েছে। বর্তমানে দেশের মানুষ এক জালিম সরকারের শাসনে বসবাস করছে। কিন্তু, এদেশের সাহসী জনতা অতীতেও যেমন সকল স্বৈরাচারকে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করেছে, বর্তমান স্বৈরাচারী সরকারকেও তীব্র গণআন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করতে রাস্তায় নেমে এসেছে। পুলিশের এই হত্যাকান্ডে জনগণের শক্তি আরও সংহত হবে এবং সরকারের পতন তরান্বিত হবে।
নুরে আলম এর রুহের মাগফিরাত কামনা করে মির্জা ফখরুল শোকাহত পরিবার-পরিজন ও শুভাকাঙ্খীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান