খুলনা, বাংলাদেশ | ২০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ৫ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  কয়েকজন বিচারপতির আচরণের বিষয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধান চলছে, এ বিষয়ে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে : সুপ্রিম কোর্ট
  সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক বিকালে
  ১৫ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজে টেস্ট জয় বাংলাদেশের
খুমেক হাসপাতালের কার্ডিওলোজি বিভাগ

গুরুত্বপূর্ণ ওয়ার্ডে সব থেকে বেশি অবহেলা

বশির হোসেন

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সব ওয়ার্ডে রোগীদের সার্বক্ষণিক দেখভালের জন্য একাধিক সহকারী রেজিষ্ট্রার পদমর্যাদার চিকিৎসক থাকলেও নেই সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ কার্ডিওলোজি বিভাগে। সব ওয়ার্ডে ইন্টার্ণ চিকিৎসকদের সংযুক্ত থাকলেও নেই এই ওয়ার্ডে। একটি ইকোমেশিন থাকলেও বেশির ভাগ সময় তা নষ্ট থাকে। মাত্র দুইজন চিকিৎসক থাকলেও তাদের মধ্যে বিরোধ দীর্ঘদিনের। ফলে রোগ বিবেচনায় সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ এই ওয়ার্ডটি চলছে সব থেকে বেশি অবহেলায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কার্ডিওলোজি বিভাগ চলছে অবহেলায়। এই প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে বিষয়ভিত্তিক ট্রেনিং এ থাকা সহকারী রেজিষ্ট্রার পদমর্যাদার চিকিৎসক পদায়ন থাকলেও এই ওয়ার্ডে নাই। ডিগ্রিধারী চিকিৎসক থাকলেও তা অন্য ওয়ার্ডের সাথে এটাস্ট করা হয়েছে। অন্য সকল ওয়ার্ডে ইন্টার্ণ চিকিৎসকদের দায়িত্ব দেয়া থাকলেও ব্যতিক্রম শুধু এই ওয়ার্ডটি। দুপুর দুইটার পর থেকে এই ওয়ার্ডে কোন চিকিৎসক থাকেন না। সম্পূর্ণ ওয়ার্ডটি চলে নার্সদের দ্বারা। মাঝে মাঝে রাতে রাউন্ড দিতে আসেন একজন চিকিৎসক।

কার্ডিওলোজি এই ইউনিটে সহকারী অধ্যাপক পদমর্যাদার মোট চিকিৎসক আছে দুইজন। ডাঃ স ম দেলোয়ার হোসেন এবং ডাঃ মোস্তফা কামাল। জ্যেষ্ঠতা নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ দীর্ঘদিনের। একজনের রোগী অন্যজন দেখেন না। দুইজন সপ্তাহে দুইদিন ইকোকার্ডিওগ্রাম করলেও মেশিন নষ্টসহ বিভিন্ন কারণে তা প্রায়শই বন্ধ থাকে। করোনাকালীন গত ৭ মাসে ইকো হয়নি এই ওয়ার্ডে। ফলে দারুণ ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে সাধারণ রোগীদের।

সরেজমিনে ওয়ার্ডটি ঘুরে দেখা যায়, ১০টি বেডের মধ্যে ৩-৪টি বেডে সিসিইউ মনিটর নষ্ট ২টি বাদে সব এসি নষ্ট। পরিবেশ নোংরা এবং জরুরি সেবা বলতে কিছু নেই।

কয়রা থেকে হার্ট এটাক নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসা মোঃ সালাম লস্কর রাতে মৃত্যু হয়। কোন চিকিৎসক ছিলো না। রাতে তীব্র শ্বাসকষ্ট শুরু হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কার্ডিওলোজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ মোঃ মোস্তফা কামাল বলেন, এখানে আমাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ওয়ার্ডটি চালু রেখেছি। মাত্র দুইজন একটি ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালন করি। সহকারী রেজিস্ট্রার ও ইন্টার্ণ চিকিৎসকদের জন্য আমরাও অনেকবার বলেছি। কোন কাজ হয়নি। এই ওয়ার্ডটি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করতে জুনিয়র কনসালটেন্ট, সহকারী রেজিস্ট্রার, রেজিস্ট্রার, মেডিকেল অফিসার, ইন্টার্ণ চিকিৎসক প্রয়োজন।

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!