দেশের রাজনীতি নিয়ে বিদেশিদের তৎপরতা বিষয়ে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, ভিসা নীতি নিয়ে স্যাংশনের ভয় যারা দেখাচ্ছিল তারা এখন চিঠি নিয়ে ঘুরছে। তারা শর্তহীন সংলাপ করতে বলে। তবে সংলাপের আগে বিএনপি-জামায়াতের একদফা পরিত্যাগ করতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি ছাড়তে হবে।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের উদ্যোগে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
বিএনপি-জামায়াত রাজপথ ছেড়ে পালিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা পালাইনি, পালিয়েছেন আপনারা। এই সরকার পালাবে না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই দেশে সরকার কায়েম করে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা চলমান রাখবে।
বিএনপি-জামায়াতের কর্মসূচির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ২৮ তারিখের পর থেকে আজ পর্যন্ত হরতাল ও অবরোধের নামে তারা দেশের মানুষের ওপর হামলা করছে, গাড়ি পোড়াচ্ছে।
শান্তি সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু। এ সময় তিনি বলেন, ‘আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভারাডুবি হবে জেনে বিএনপি নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র করছে। ষড়যন্ত্র শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নয়, বিএনপি ষড়যন্ত্র করছে দেশের মানুষের বিরুদ্ধে।
’
আওয়ামী লীগের প্রবীন এই নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প কোনো নেতৃত্ব এই দেশে নেই। তাই আগামী দিনে শেখ হাসিনাকে বিজয়ী করে আমরা এই দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা বজায় রাখবো। শেখ হাসিনার সরকার এই দেশের মানুষকে খাদ্য নিরাপত্তা দিয়েছে।
আমির হোসেন আমু বলেন, যেই বাংলাদেশ ছিল দুর্ভিক্ষের দেশ, সেই বাংলাদেশ আজ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। আমাদের দেশের কোনো মানুষ এখন না খেয়ে থাকে না।
শেখ হাসিনার সরকার এই দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্যে কাজ করেছে। গ্রামীণ অর্থনীতি আমাদের সূদৃঢ় হয়েছে।
তিনি বলেন, গ্রামের মানুষের খাদ্য ও পুষ্টিনিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে। পুরুষদের পাশাপাশি গ্রামীণ নারীরা আর্থসামাজিক কাজে সংযুক্ত হওয়ার মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনে ভূমিকা রাখছে। তারা পরিবার ও সমাজের আয়-উৎপাদনমূলক কর্মকান্ড বাড়াচ্ছেন। ফলে দেশে এখন দরিদ্র মানুষ নেই বললেই চলে।
মাজাভাঙা বিএনপি আর সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না মন্তব্য করে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ২৮ তারিখ বাংলার মানুষ বিএনপি-জামায়াতকে ধাওয়া দিয়ে মাজা ভেঙে দিয়েছিল। মাজাভাঙা বিএনপি আর সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না।
রাজপথে বিএনপি ব্যর্থ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত অনেক দফা দিয়েছে। ২৮ তারিখের পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকবে না বলেছিল। ওইদিন তারা হাসপাতালে হামলা করেছিল, তারা পুলিশকে হত্যা করেছিল। কিন্তু তারা সবকিছুতেই ব্যর্থ।
নির্বাচন সামনে রেখে দেশকে অস্থিতিশীল করতে বিএনপি-জামায়াত চক্র আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে অভিযোগ করে কামরুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের কথা সারা দিন বলেও শেষ করা যাবে না। আমরা এই উন্নয়নের ধারাকে এগিয়ে নিতে চাই। এই দেশের একটি গোষ্ঠী উন্নয়ন অগ্রযাত্রার বিরোধী শক্তি। তারা দেশের উন্নয়নকে বাধা দিতে চায়, তারা নির্বাচন বানচাল করতে চায়। তারা নৈরাজ্য সৃষ্টি করে দেশের অগ্রযাত্রা থামিয়ে দিতে চায়।
খুলনা গেজেট/কেডি