সাতক্ষীরার কলারোয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য মামলায় মঙ্গলবার(১০ জানুয়ারি) আসামি পক্ষের ছাফাই সাক্ষী হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে আর্জি বর্ণিত ১৫জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। ছাফাই সাক্ষী শেষ হলে যুক্তিতর্কের দিন পড়বে বলে জানিয়েছেন আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো।
সাতক্ষীরা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর পিপি এড: আব্দুল লতিফ জানান, আদালতের কার্যক্রমের শুরুতেই মঙ্গলবার সাতক্ষীরার স্পেশাল ট্রাইবু্যুনাল-৩ এর বিচারক বিশ্বনাথ মন্ডলের আদালতে আসামি পক্ষের সাফাই সাক্ষী শুরু হবে। আসামী পক্ষের ২৩জন এই ছাফাই সাক্ষ্য দেবেন বলে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে বলা হয়েছে। তাদেরকে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জেরা করবেন পিপিসহ তার সহযোগী আইনজীবীরা।
বহুলালোচিত এই মামলার ৫০ আসামীর মধ্যে ৩৯ জন আদালতের কাঠগোড়ায় উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। বাকি ৯জন পলাতক রয়েছে এবং ২জন আসামীর মৃত্যু হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালের ৩০আগস্ট তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেত্রী এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে আসেন কলারোয়ার একজন মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিতা স্ত্রীকে দেখতে। সেখান থেকে যশোরে ফেরার পথে কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে পৌছালে শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে শেখ হাসিনার সফরসঙ্গীসহ কয়েকজন দলীয় নেতাকর্মী আহত হন। এঘটনার এক যুগপর উচ্চ আদালতের নির্দেশে মামলা হয়। অবশেষে দুই দশক পর মামলার বিচারকার্য শেষের পথে।
এর আগে একই মামলার হামলা ও ভাংচুর অংশের বিচারে গত বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রায় হয়। এতে ৫০জন আসামীর প্রত্যেকের সর্বনিন্ম ৩ বছর থেকে সর্বোচ্চ ১০বছর পর্যন্ত সাজা প্রদান করা হয়। আসামিরা বর্তমানে এই সাজায় সাতক্ষীরা কারাগারেই আছেন।
পরে একই ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের দুটি মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু হয় পর্যায়ক্রমে ১৩ দিনে ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয় এবং আজ ১৪ দিনে ছাফাই সাক্ষ্য হওয়ার কথা রয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এসজেড