মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাঙালি জাতির জন্য আর্শিবাদ হয়ে এসেছিলেন। তিনি বাঙালির উন্নয়ন ও ঐক্যের বার্তা নিয়ে দেশে এসেছিলেন। তাঁর এই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে বাস্তবায়নে প্রথমেই তিনি দলকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগকে নিয়ে তিনি অবরুদ্ধ বাঙালিকে মুক্ত করতে আন্দোলন শুরু করেন।
মঙ্গলবার (১৭ মে) সন্ধ্যা ৭টায় মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত দলীয় কার্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪২তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, যে জাতির কোন লক্ষ্য, উদ্দেশ্য নেই; সে জাতির কোন ভবিষ্যৎ নেই। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিলো বলেই আজ শেখ হাসিনা সেই লক্ষ্য বাস্তবায়ন করছেন। তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা বাঙালি জাতির আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটিয়েছেন।
তিনি কোন রক্তচক্ষুকে ভয় না পেয়ে বাঙালি জাতির বাক স্বাধীনতা, অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যেই মৃত্যু উপত্যকায় দাড়িয়ে অত্যন্ত শক্ত হাতে দেশ পরিচালনা করছেন। তাঁর এই সৎ উদ্দেশ্য আর বাঙালির অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে কতিপয় দেশ বিরোধী নানা ষড়যন্ত্র করছে। এই ষড়যন্ত্রকে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মোকাবেলা করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তিনি যুদ্ধাপরাধীসহ জাতির পিতার হত্যার বিচার করেছেন। জাতীয় চারনেতার বিচার চলছে। এদেশে সকল হত্যার বিচার হচ্ছে। মানুষ আজ আস্থার জায়গা খুজে পেয়েছে। তিনি ভঙ্গুর অর্থনীতিকে ঢেলে সাজিয়েছেন। আজ আর মানুষকে অন্ধকারে থাকতে হয়না। অফুরান্ত বিদ্যুতের সরবরাহের কারনে শিল্পকলকারখানাসহ কৃষিতে বিপ্লব ঘটেছে। ফলে আজ দেশে কোন খাদ্য ঘাটতি নেই। মানুষের জীবনমান বেড়েছে। তিনি দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, সেকারনে সকল ভেদাভেদ ভুলে জাতির জনকের আদর্শ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মল্লিক আবিদ হোসেন কবীর। এসময়ে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মিজান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, নুর ইসলাম বন্দ, অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, মো. আশরাফুল ইসলাম, শেখ মো. ফারুক আহমেদ, আবুল কালাম আজাদ, এ্যাড. খন্দকার মজিবর রহমান, প্যানেল মেয়র আলী আকবর টিপু, শেখ ফারুক হাসান হিটলু, শেখ মো. জাহাঙ্গীর আলম, এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম, এ কে এম সানাউল্লাহ নান্নু, শেখ আবিদ হোসেন, এ্যাড. সুলতানা রহমান শিল্পী, রনজিত কুমার ঘোষ, মো. সফিকুর রহমান পলাশ, এম এ নাসিম, এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন আ’লীগ নেতা কাজী এনায়েত হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ শহিদুল ইসলাম, বেগ লিয়াকত আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামল সিংহ রায়, এ্যাড. রজব আলী সরদার, এ্যাড. আইয়ুব আলী, জামাল উদ্দিন বাচ্চু, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যা. আলমগীর কবির, শেখ মো. আনোয়ার হোসেন, কাউন্সিলর জেড এ মাহমুদ ডন, এ্যাড. অলোকা নন্দা দাস, বিরেন্দ্র নাথ ঘোষ, মফিদুল ইসলাম টুটুল, শেখ নুর মোহাম্মদ, অধ্যা. রুনু ইকবাল, মাহাবুবুল আলম বাবলু মোল্লা, কাউন্সিলর ফকির মো. সাইফুল ইসলাম, এস এম আনিছুর রহমান, কাউন্সিলর শেখ হাফিজুর রহমান, এস এম আকিল উদ্দিন, কাউন্সিলর মাহমুদা বেগম, কাউন্সিলর মাহফুজুর রহমান লিটন, এ্যাড. একেএম শাহজাহান কচি, অধ্যা. এ বি এম আদেল মুকুল, এ্যাড. রাবেয়া ওয়ালী করবী, আইরিন চৌধুরী নিপা, মো. আমির হোসেন, এস এম হাফিজুর রহমান, আলী আকবর, এ্যাড. শামীম আহমেদ পলাশ, বাদল সরদার বাবুল, চ. ম. মুজিবর রহমান, আব্দুল হাই পলাশ, শেখ আবিদ উল্লাহ, জামিরুল হুদা জহর, জাকারিয়া রিপন, শেখ হাসান ইফতেখার চালু, ফয়েজুল ইসলাম টিটো, নজরুল ইসলাম তালুকদার, এ্যাড. শামীম মোশাররফ, মো. জাকির হোসেন, ইউসুফ আলী খান, সেলিম মুন্সি, গোলাম হায়দার বুলবুল, কবীর পাঠান, অভিজিৎ চক্রবর্তী দেবু, আইয়ুব আলী খান, শহিদুল হাসান, আলমগীর মল্লিক, জিলহজ্ব হাওলাদার, আশরাফ আলী হাওলাদার শিপন, জহির আব্বাস, মাসুদ হাসান সোহান, মাহমুদুর রহমান রাজেস, রাহুল শাহরিয়ার সহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।