অন্যান্য পণ্যের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শাকসবজির দাম। থেমে নেই পেঁয়াজ ও আলুর দাম। পাশাপাশি বেড়েছে মাছের দাম। সব মিলিয়ে শুক্রবারের বাজার বেশ গরম।
নগরীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের সবাজির দাম ১০ থেকে ১৫ টাকা করে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২৮ টাকার পেঁয়াজ ৩৯ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। ১৪ টাকার আলু ২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। সিম ও পেঁয়াজের কালিতে বেড়েছে ১০ টাকা। শসা ও বেগুনে বেড়েছে ১০ টাকা। মানভেদে প্রতিকেজিতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের দাম দুই থেকে আড়াইশ’ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।
নগরীর নতুন বাজারের কাঁচা তরকারি ব্যবসায়ী হাসিব জানান, গত শুক্রবারের বৃষ্টির পর থেকে সব জিনিষের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তাছাড়া বাজারে শীতকালীন সবজির দাম বেশী। কারণ এর উৎপাদন শেষ পর্যায়ে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম। তাই সবজির দাম বেশী।
ওই বাজারের অপর ব্যবসায়ী বাপ্পী জানান, বাজারে সব জিনিষের দাম উর্ধ্বমুখী। কাঁচা বাজারে কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। সকালে থাকে এক দাম আর বিকেলে হয়ে যায় আরেক দাম। সবক্ষেত্রে যেন অরাজকতা চলছে।
নতুন বাজারে কথা হয় মাছ বিক্রেতা রেজাউলের সাথে। তিনি জানান, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে মাছের দাম বেড়েছে প্রতিকেজিতে আড়াইশ’ টাকা। চাহিদার তুলনায় মাছের সরবরাহ কম থাকায় এ মূল্যে তাকে বিক্রি করতে হচ্ছে।
কথা হয় ক্রেতা হাদির সাথে। পেশায় তিনি একজন সরকারি চাকুরীজীবী। ব্যস্ততার কারণে বাজারে তেমন আসতে পারেন না তিনি। তবে সব ধরনের সবজি ও পণ্যর দাম বেড়েছে বলে তিনি স্বীকার করেন। গত সপ্তাহে যে পণ্য ২০ টাকায় ক্রয় করেছেন আজ তাকে ৪০ টাকায় ক্রয় করতে হচ্ছে। সব জিনিষের দাম হু হু করে বেড়ে চললেও কারও কোন মাথা ব্যাথা নেই।
মিস্ত্রীপাড়া বাজারে কথা হয় বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা রোমান হাওলাদারের সাথে। তিনি বলেন আয়ের পরিধি বাড়েনি, বেড়েছে ব্যায়ের পরিধি। করোনা পরবর্তী সময়ে বেতন বাড়েনি তার। কিন্তু বেড়েছে ঘরভাড়া ও ব্যায়ের পরিমাণ। যেভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিষের দাম বেড়ে চলেছে তাতে আর বেঁচে থাকার পথ আর থাকবে না। বাজার নিয়ন্ত্রণে তিনি বাজার তদারকির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।
খুলনা গেজেট/এনএম