খুলনায় শিশুকে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবির অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় আসামি নবী মোল্লাকে যাবজ্জীবন করাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে এ মামলার অপর আসামির অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় আদালত তাকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন।
খালাসপ্রাপ্ত আসামি হল, কবির মোল্লা। তারা উভয়ই সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার গদাইপুর গ্রামের জনৈক গফুর মোল্লার ছেলে।
বুধবার খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৩ এর বিচার আ: ছালাম খান এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী রুবেল খান। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেছেন ওই আদালতের স্পেশাল পিপি ফরিদ আহম্মেদ।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, ভিকটিম মোসাম্মাৎ হালিমা খাতুন। মোহাম্মদনগরের বাসিন্দা জনৈক রুহুল আমিন সরদারের মেয়ে। সে মোহাম্মদনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী। ২০২০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৮ টায় স্কুলে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। পরবর্তীতে সে আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। নিকটস্থ আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে খোঁজ নিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি।
২৮ ফেব্রুয়ারি বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে রুহুল আমিনের মোবাইলে ফোন আসে। ফোনে তাকে বলা হয়, তার মেয়ে তাদের কাছে আছে। এ সময়ে অপহরণকারীরা তার কাছে ১০ হাজার টাকা মুক্তিপণ চায়। কাউকে বিষয়টি জানালে তার মেয়ের ক্ষতি হবে বলেও তাকে হুমকি দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যদের সাথে আলোচনা করে বিষয়টি তিনি র্যাবকে জানান। পরেরদিন রাত ১১ টা ৫ মিনিটে অপহরণকারীরা ভিকটিমকে সাথে নিয়ে নগরীর ফুলমার্কেটের সামনে ফুলেশ্বরী দোকানের সামনে অবস্থান করে। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে লবনচরা থানায় মামলা দায়ের করেন। একই বছরের ৩১ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন মোল্লা আসামি মো: নবী মোল্লা ও কবির মোল্লার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
খুলনা গেজেট/ এসজেড