যশোরের শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আকুল হোসাইনসহ পাঁচজনকে ৮টি নাইন এমএম পিস্তলসহ ডিবি পুলিশ আটক করেছে। এ ঘটনাকে সাজানো বলে দাবি করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তার স্ত্রী নাদিরা আক্তার লাইজু।
তিনি বলেন, ব্যবসায়িক কাজে গত ৩০ আগস্ট সোমবার আকুল হোসাইন খুলনায় যাচ্ছিলেন। ওইদিন বিকালে তাদের সাথে মোবাইল ফোনে তার সর্বশেষ কথা হয়। অথচ পুলিশ দাবি করেছে, তাকে ৩১ আগস্ট ভোররাতে অস্ত্রসহ আটক করেছে। মূলত তাকে খুলনা থেকে তুলে ঢাকায় নিয়ে দুইদিন পর অস্ত্র দিয়ে আটক দেখানো হয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আকুল হোসাইন, আব্দুল আজিম, ইলিয়াস হোসেন, মিলন হোসেন ও ফজলুর রহমান প্রতিষ্ঠিত সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী। তারা এক সাথে ব্যবসায়িক কাজে খুলনায় যাচ্ছিলেন। এ সময় ডিবি পুলিশের ঢাকা গুলশান জোনের ডিসি মশিউর রহমান ও এডিসি কামরুজ্জামান তাদের খুলনা থেকে তুলে ঢাকায় নিয়ে যান। পরে ৮টি নাইন এমএম পিস্তলসহ আটকের নাটক সাজানো হয়েছে।
পরে এ ঘটনায় ডিএমপির মিডিয়া সেন্টার থেকে সংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দেয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে, আকুল ২০১৪ সাল থেকে অস্ত্র ব্যবসার সাথে জড়িত। এই সময়ে তিনি ২০০ অস্ত্র বিক্রি করেছেন। অথচ তার নামে অস্ত্র সংশ্লিষ্ট কোন মামলা নেই। সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্য দিয়ে তাকে হয়রাণি করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে আকুল হুসাইনের রাজনৈতিক পরিচয়ও তুলে ধরা হয়। তিনি দীর্ঘদিন যশোরের শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তিনি জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতিরও দায়িত্ব পালন করেছেন। সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলকভাবে তাকে মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আকুলের স্ত্রী নাদিরা আক্তার লাইজু। এসময় তার সাথে ছিলেন আকুলের ভাইরা ভাই ওহিদ হোসেন, শালিকা ফারহানা ইয়াসমিন, ভাইপো সিফাত হোসেন সজল। তারা দাবি করেন, আকুলসহ তার সঙ্গী ও যেসব পুলিশ কর্মকর্তা তাদের আটক করেছেন ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে ওই সময় তারা কোথায় ছিলেন, তা শনাক্ত করে ঘটনাটির প্রকৃত রহস্য উন্মোচনের জন্য সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
খুলনা গেজেট/কেএম