যশোরের শার্শায় কিশোর ইজিবাইকচালক সোলাইমান সাকিব হত্যা রহস্য উন্মোচন করেছে পিবিআই। হত্যায় জড়িত তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সদস্যরা। একইসাথে ছিনতাই হওয়া ইজিবাইক উদ্ধার করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলো, ঝিকরগাছা উপজেলার চান্দেরপোল গ্রামের মৃত জালাল উদ্দিন মোল্লার ছেলে মনিরুল ইসলাম, বাঘারপাড়া উপজেলার বারভাগ গ্রামের মৃত নিজাম উদ্দিন মোল্লার ছেলে মেহেদী হাসান মিলন ও চৌগাছা উপজেলার মাড়–য়া গ্রামের রমজান আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম প্লাবন।
তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রেজোয়ান জানান, আটক তিনজনকে বৃহস্পতিবার আদালতে সোপর্দ করা হয়। এরমধ্যে মিলন ও প্লাবন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক পলাশ কুমার দালাল তাদের জবানবন্দি গ্রহণ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
পিবিআই যশোরের পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন জানান, পিতামাতার মধ্যে ছাড়াছাড়ি হওয়ায় ঝিকরগাছা উপজেলার পুরন্দপুর গ্রামের শাকিল হোসেনের ছেলে সাকিব শার্শা উপজেলার গোগা কারিকরপাড়ায় নানার বাড়িতে থাকতো। গত ১৭ জানুয়ারি দুপুর একটার দিকে সে তার নানার ইজিবাইক নিয়ে ভাড়ায় চালানোর জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর রাতে সে আর বাড়ি ফেরেনি।
পরদিন ১৮ জানুয়ারি সকাল সাড়ে নয়টার দিকে নানাবাড়ি থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে উপজেলার বড়বাড়িয়া গ্রামের আব্দুর রশিদের কুল বাগানের পাশের একটি খাল থেকে তার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। এসময় তার ইজিবাইকের সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় নিহতের নানা আকবর আলী অজ্ঞাতদের আসামি করে শার্শা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে পিবিআই মামলাটি তদন্তের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত হন এসআই রেজোয়ান।
পিবিআই সূত্র জানায়, গত ১৯ জানুয়ারি বিকেলে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে থেকে মনিরুল ও মিলনকে আটক করা হয়। এরপর তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাত সোয়া সাতটার দিকে চৌগাছা উপজেলার মাড়–য়া বাজার থেকে সাইফুল ইসলাম প্লাবনকে আটক করা হয়। পরে সাইফুল ইসলাম প্লাবনের স্বীকারোক্তিতে চৌগাছা বাজারের ছুটিপুর রোডে নুরুজ্জামান ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপ থেকে ছিনতাইকৃত ইজিবাইকটি উদ্ধার করা হয়।