শপথ নিয়েই আশাশুনি উপজেলার নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যানরা তাদের প্রথম দাবী হিসাবে আশাশুনির মানিকখালি সেতুর অবৈধ টোল বন্ধ করার জন্য জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সড়ক ও সেতু মন্ত্রীর কাছে স্মরকলিপি দিয়েছেন।
বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে জেলা প্রাশাসকের কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে আশাশুনি উপজেলার ১১ ইউপির নব নির্বাচিত চেয়ারম্যানদের শপথ বাক্য পাঠ করান জেলা প্রশাসক মোঃ হুমায়ুন কবির। শপথ অনুষ্ঠান শেষে চেয়ারম্যানরা এই স্মারকলিপি পেশ করেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, আশাশুনি উপজেলা ভাঙ্গন কবলিত ও দূর্যোগ প্রবণ এলাকা। এ এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবীর প্রেক্ষিতে সাতক্ষীরা-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডা: আ ফ মা রুহুল হক এর প্রচেষ্ঠায় আশাশুনির খোলপেটুয় নদীর উপর মানিকখালি সেতুটি নির্মিত হয়। নির্মাণ ও উদ্বোধনের সময় টোল আদায়ের কথা ছিল না। সেতুটি উদ্বোধন করেন সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি। তখন তিনি বলেছিলেন সেতুটি টোলমুক্ত থাকবে।
কিন্তু সাতক্ষীরা সড়ক বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজসে প্রায় দেড় বছর ধরে ইচ্ছামত টোল আদায় করা হচ্ছে। যে টাকার অধিকাংশ ভাগ বাটোয়ারা শেষে সরকারি কোষাগারে নাম মাত্র অর্থ প্রদান করা হয়।
চেয়ারম্যানগণ আশাশুনি উপজেলার অবহেলিত মানুষের কথা চিন্তা করে অতি দ্রুত মানিকখালি সেতুর টোল আদায় বন্ধ করার জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন, খাজরা ইউপি চেয়ারম্যান এস এম শাহনেওয়াজ ডালিম, বুধহাটা ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক মাহবুবুল আলম ডাবলু, দর্গাপুর ইফপি’র শেখ মিরাজ আলী, আনুলিয়া ইফপির মোঃ রুহুল কুদ্দুস, কাদাকাটির দীপঙ্গর সরকার দ্বীপ, বড়দলের জগদীশচন্দ্র সানা, আশাশুনি সদরের চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান হোসেন প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/ এস আই