যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরে সর্বাত্মক লকডাউনের প্রথম দিনে ও সচল রয়েছে আমদানি রফতানি বাণিজ্য, স্বাভাবিক রয়েছে সীমিত পরিসরে পাসপোর্ট যাত্রী যাতায়াত। নিত্য প্রয়োজনীয় কাচা বাজার মাছের দোকান ছাড়া অন্যসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তবে বেনাপোল বাজারে অতি প্রয়োজনীয় কাজে আসা মানুষের আনাগোনা দেখা গেছে। কাঁচা বাজার ও মাছ বাজারে আসা মানুষদের মাস্ক ব্যবহার করতে দেখা গেলেও সামাজিক দূরত্ব মানছে না কেউ।
সর্বাত্মক লকডাউনের প্রথম দিন বেনাপোল স্থল বন্দর দিয়ে ভারতের সাথে আমদানি রফতানি বাণিজ্য স্বাভাবিক রয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে আমদানি রফতানি কার্যক্রম।
সর্বাত্মক লকডাউনের প্রথম দিনে পুলিশ বিজিবির তৎপরতা চোখে পড়ার মত থাকলে ও সকাল ১১ টা পর্যন্ত সেনাবাহিনীর গাড়ি বা টহল দেখা যায়নি। তবে নাভারন সার্কেল এএসপি জুয়েল ইমরান জানান কিছু সময়ের মধ্যে শার্শা থেকে সেনাবাহিনীর টহল শুরু হবে। এবং তারা বেনাপোল সহ গোটা শার্শা উপজেলার ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত টহল দেবেন।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মামুন খান জানান, সর্বাত্মক লকডাউন পালনে আমার পুলিশ সদস্যরা এলাকার মোড়ে মোড়ে টহল দিচ্ছে। যাতে লকডাউনের বিধি অমান্য করে কেউ অযথা বিনা প্রয়োজনে বাহিরে আসতে না পারে।
বেনাপোল বিজিবি কোম্পানি সদরের সুবেদার আশরাফ আলী জানান, করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক লকডাউনের প্রথম দিন আজ সকাল থেকে আমিসহ বিজিবির টহল কাজ শুরু করেছি। বিধিনিষেধ ভঙ্গ করে যারা বাড়ির বাহিরে আসছে তাদেরকে ফেরত পাঠাচ্ছি। প্রয়োজনের সঠিক ব্যাখ্যা দিলে তাদেরকে কাজ মিটিয়ে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফেরার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (০১ জুলাই) সকাল থেকে বেনাপোল পেট্রাপোল বন্দরে মধ্যে স্বাভাবিক নিয়মে চলছে আমদানি রফতানি বাণিজ্য। সকাল ১১ টা পর্যন্ত সময়ে ভারত থেকে ৪০ ট্রাক আমদানি পণ্য নিয়ে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে। অপর দিকে বাংলাদেশি ৩০ ট্রাক রফতানি পণ্য নিয়ে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে। এছাড়াও বেনাপোল স্থলবন্দরে পণ্য ওঠা নামা ও পণ্য খালাস প্রক্রিয়া স্বাভাবিক রয়েছে।
বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক মামুন কবির তরফদার জানান, সরকারিভাবে সর্বাত্মক লকডাউন চললেও বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য স্বাভাবিক থাকবে। তবে তা সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে। ভারত থেকে আসা পণ্যবাহি ট্রাকের ড্রাইভার ও হেলপাররা বন্দরের বাইরে বের হতে পারবে না সেজন্য গেটে আনসার সদস্য ও সিকিউরিটি গার্ড নিয়োজিত রয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম