খুলনা রেলওয়ে এলাকার গ্রীনল্যান্ড বস্তির ফুটফুটে শিশু মারিয়া (৫)। ক্ষণজন্মা মেধাবী শিশুটির গল্প যেনো প্রস্ফুটিত হবার পূর্বেই ঝরে পড়া ফুলের মত। খুলনা রেলওয়ে এলাকার সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের স্কুল স্বপ্নপুরীর মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলো মারিয়া। আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কনসহ একাধিক বিষয়ে ছিল তার মেধার স্বাক্ষর।
মাত্র ৫ বছর বয়সে গত জানুয়ারি মাসে করোনার ভিতরেই খুমেক হাসপাতালে অকালে মারা যায় শিশুটি।
সরেজমিনে গ্রীনল্যান্ড বস্তিতে গেলে মারিয়ার মা রাশিদা বেগম জানান, আমি নিউমার্কেট এলাকায় একটি বাসাবাড়িতে কাজ করছি। সামান্য কিছু টাকা পাচ্ছি যা দিয়ে সংসার চলছে না। তিনি আরো বলেন, লকডাউনে মারিয়ার বাবা ভ্যান চালাতে পারছে না। ঘরে খাবার নেই। ভীষণ কষ্টে আছি। এবারের লকডাউনে কেউ কোনো সাহায্য করেনি। খাওয়া-দাওয়া নিয়ে কত যে কষ্টে আছি আল্লাহ ছাড়া কেউ জানেন না। আল্লাহই আমাদের সহায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই বস্তিতে মারিয়ার পরিবারের মত প্রায় ১২০ টি পরিবার লকডাউনের কারণে মানবেতর জীবনযাপন করছে। করোনার মধ্যে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা যখন কমেছে, সে সময় নিত্যপণ্যের বাজারে দ্রব্যমূল্য বেড়েছে। এতে ভোক্তাদের কষ্টও বেড়েছে। প্রতিনিয়ত চাল, ডাল, তেলসহ বিভিন্ন খাদ্য পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে।
চলমান কঠোর লকডাউনে রিকশাচালক, গাড়িচালক, দিনমজুর, কৃষি শ্রমিক, দোকানদার, ফুটপাতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এমনকি খেটে খাওয়া কর্মজীবীরা এখন ঘরবন্দী। তাদের জীবন চলছে ভীষণ কষ্টে। অনেকেই খাদ্য সঙ্কটে আছেন।
বস্তিবাসী অনেকেই জানান, গতবছর লকডাউনে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান সহযোগিতা করলেও এবার তাদের কেউ সহযোগিতা করেনি।
খুলনা গেজেট/এনএম