রূপসা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে ধানের ক্ষতিকর ও উপকারী পোকামাকড়ের উপস্থিতি শনাক্তকরণের লক্ষ্যে এ বছর রোপা আমন ধানে আলোক ফাঁদ স্থাপনের এক কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে বুধবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নিকলাপুর ব্লকের দেবিপুর সুতালের বটতলার সন্নিকটে আলোক ফাঁদ স্থাপন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট অধ্যক্ষ ড. এস এম ফেরদৌস।
তিনি বলেন, আলোক ফাঁদের মাধ্যমে উপকারী পোকা সংরক্ষণ এবং ক্ষতিকর পোকামাকড়ের উপস্থিতি শনাক্ত করে তা দমনের ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এটি পোকা দমনের একটি সহজ পদ্ধতি এবং পরিবেশ বান্ধব।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইনস্টিটিউটের উপাধ্যক্ষ শেখ মোঃ শহীদুজ্জামান, সাতক্ষীরার ডিএই’র উপ-পরিচালক, মোঃ নুরুল ইসলাম, খুলনা ডিএই’র অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (উদ্যান) মোঃ নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (পিপি) মোতাহার হোসেন, সাতক্ষীরার অতিরিক্ত উপপরিচালক (পিপি) মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ, রূপসা উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ ফরিদুজ্জামান ও কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার শেখ সাখাওয়াত হোসেন। এ কার্যক্রম পরিচালনা করেন ওই ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর মোল্যা। তিনি জানান, আলোক ফাঁদে উপকারী পোকার মধ্যে ড্যামসেল ফ্লাই ও বোলতা এবং ক্ষতিকর পোকার মধ্যে বিপিএইচ (কারেন্ট পোকা), চুঙ্গি পোকা, সবুজ পাতা ফড়িং এর উপস্থিতি পাওয়া যায়।৷
রূপসা উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ ফরিদুজ্জামান জানান, ক্ষতিকর পোকামাকড় বিশেষ করে বিপিএইচ বা কারেন্ট পোকা যাতে রোপা আমন ধানের ক্ষতি সাধন করতে না পারে সেজন্য এই উপজেলার ১৫টি ব্লকে একযোগে প্রতি বুধবার সন্ধ্যায় আলোক ফাঁদ স্থাপনের এই কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে এবং ধান পাকা পর্যন্ত তা চলবে।
খুলনা গেজেট / এমএম