খুলনা জেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেছেন, আওয়ামী আজ্ঞাবাহ পুলিশ গায়েবী মামলার নতুন ফর্মুলায় রূপসা থানায় দায়েরকৃত মিথ্যা অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় তেরখাদা উপজেলা বিএনপির সভাপতি প্রবীণ রাজনীতিক চৌধুরী কওসার আলীসহ ৮জনকে গ্রেপ্তার করেছে। আটজন বিএনপি নেতার নাম উল্লেখসহ এমামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ৪০ থেকে ৫০জনকে। অথচ এজাহার বর্ণিত কোনো ঘটনায় ঘটেনি। আওয়ামী সরকারের আজ্ঞা পালনে প্রতিহিংসামুলক বানোয়াট মামলা দায়েরের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন খুলনা জেলা বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ। একই সাথে তেরখাদা উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি প্রবীণ রাজনীতিক চৌধুরী কওসার আলীসহ সকল রাজবন্দীর নিঃশর্ত মুক্তি ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ-সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ।
শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) খুলনা জেলা বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন, গত ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশ পূর্বের ন্যায় হিংস্র বাহিনীতে পরিণত হয়। তেরখাদা, রূপসা, বটিয়াঘাটা ও ডুমুরিয়ায় বিনাউস্কানীতে পুলিশ বিএনপি’র অসুস্থ ও চিকিৎসাধীন নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ কল্প-কাহিনী সাজিয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা দায়ের করে-এসব মামলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়। শুধু তাই নয়; খুলনার ৯টি উপজেলা ও দু’টি পৌরসভায় প্রতিরাতেই নিরীহ সাধারণ জনগনকে হয়রানি করছে, অহেতুক তল্লাশীর নামে বাড়ীবাড়ী যেয়ে অবুঝ শিশু ও অবলা নারীদের মধ্যে ত্রাস সৃষ্টি করছে। বিনা উস্কানিতে বিএনপি নেতাকর্মীদের গায়েবি মামলায় গ্রেপ্তার করছে। এসব করে আওয়ামী সরকারের শেষ রক্ষা হবে না। বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে অচিরেই এ সরকারের পতন নিশ্চিত হবে ইনশাআল্লাহ্।
বিবৃতিদাতারা হলেন খুলনা জেলা বিএনপি’র আহবায়ক আমীর এজাজ খান, সদস্য সচিব এসএম মনিরুল হাসান বাপ্পী ও যুগ্ম-আহবায়ক শেখ আবু হোসেন বাবু প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/ বিএমএস