মস্কোতে চলমান রুশ অভিযানে স্থগিতাদেশ দেওয়া এবং এই অভিযানের জন্য রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিচারকাজ শুরু করতে আন্তর্জাতিক আদালতে আবেদন করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদমির জেলেনস্কি।
রোববার এক টুইটে এ তথ্য জানিয়েছেন জেলেনস্কি নিজেই। টুইটবার্তায় তিনি বলেন, ‘ইউক্রেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে আবেদন করেছে। রাশিয়াকে অবশ্যই তার আগ্রাসন ও গণহত্যার জন্য জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে।’
‘আবেদনে আমরা রুশ বাহিনীর আগ্রাসনের ওপর তাৎক্ষনিক স্থগিতাদেশ দেওয়া এবং আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিচার শুরু করার অনুরোধ জানিয়েছি।’
Ukraine has submitted its application against Russia to the ICJ. Russia must be held accountable for manipulating the notion of genocide to justify aggression. We request an urgent decision ordering Russia to cease military activity now and expect trials to start next week.
— Volodymyr Zelenskyy / Володимир Зеленський (@ZelenskyyUa) February 27, 2022
দীর্ঘ দুই মাস ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় ২ লাখ সেনা মোতায়েন রাখার পর গত ২৩ ফেব্রুয়ারি সকালে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে দেশটির পূর্বাঞ্চলে সেনা অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন ভ্লাদিমির পুতিন। তার ভাষণ সম্প্রচারের পরপরই রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায় এবং তড়িৎগতিতে ইউক্রেনের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় হামলা চালানোর পাশপাশি দেশটির চতুর্দিক থেকে দেশটির ভেতরে প্রবেশ করতে শুরু করে রুশ সেনাবাহিনী।
রুশ সৈন্যদের তীব্র আক্রমণের মুখে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের রাস্তায় রাস্তায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভ দক্ষিণাঞ্চলীয় গুরুত্বপূর্ণ শহর নোভা কাহোভকাসহ ৪ শহরের দখল নিয়েছে রুশ বাহিনী।
এদিকে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিনের প্রেস সেক্রেটারি ও মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, কিয়েভের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত মস্কো এবং এ জন্য বেলারুশের গোমেল শহরে ইতোমধ্যে মস্কোর প্রতিনিধিরা পৌঁছেছেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদোমির জেলেনস্কি আলোচনার প্রস্তাবে সাড়া দিয়েছেন, তবে শর্ত দিয়েছেন— বেলারুশে নয়, বৈঠক হতে হবে পোল্যান্ডে।
খুলনা গেজেট/ এস আই