রানা সরদার হত্যা মামলার চার্জশীট থেকে তিন আসামিকে অব্যাহতি দেওয়ায় অসন্তেষ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী ও ভিকটিমের মা ডলি বেগম। আসামিদের আনাগোনায় নিরাপত্তাহীনতায় নিহতের পরিবার। তার সন্তান রানা সরদার এ বছরের ২৫ মে খুন হয়।
নিহতের মা ডলি বেগম খুলনা গেজেটকে জানান, প্রধান আসামি রাব্বি হোসেন গোলদার একজন মাদকাসক্ত ও এলাকার চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা। সকল অপকর্মের আশ্রয়দাতা রাব্বির মা। তার সৎ পিতা নজরুল ইসলাম এলাকায় প্রতারক হিসেবে পরিচিত।
বাদী আরও জানান, পুত্র নিহত হওয়ার পর পুলিশ ব্যাপক তৎপরতা দেখিয়েছে। পরে অদৃশ্য এক কারণে পুলিশের তোড়জোড় কমে যায়। চার জনের নামে মামলা করা হলেও পুলিশ রাব্বি হোসেন গোলদার ও তার ছোট ভাইকে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু তার মা ও পিতাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। কিছুদিন পলাতক থাকার পর আসামি শিরীনা বেগম ও তার স্বামী নজরুল ইসলাম এলাকায় বীরদর্পে ঘুরে বেড়ায়। মামলা তুলে নেওয়ার জন্য একের পর এক প্রলোভন দেখিয়েছে তারা।
বাদী আরও জানান, ছেলে খুন হওয়ার পর বাড়ি ছাড়তে হয় তাদের। উচ্ছেদ করা হয় ভাড়া বাড়ি থেকে। ঝি এর কাজ করে তাদের সংসার চলে। নিহতের ছেলে রাজন। ১২ বছর বয়স। তাকেও মাঝে মধ্যে না খেয়ে দিন পার করতে হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই অনুপ কুমার ঘোষ ১ আগষ্ট আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। এর আগে কিছু লেখা সম্বলিত একটি কাগজে বাদীর স্বাক্ষর করিয়ে নেন। সেখানে দু’জন আসামির নাম দেখে তিনি কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসা করলে কোন উত্তর দিতে পারেনি। রাব্বির মা, পিতা, ও তার ছোট ভাই আরাবির নাম অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয় নিয়ে তিনি আইনজীবীর সাথে পরামর্শ করবেন। তিনি যা বলবেন সেটিই করা হবে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই অনুপ কুমার ঘোষ জানান, তদন্তের ভিত্তিতে তাদের তিন জনের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। তারা এ ঘটনার সাথে জড়িত নয়। বাদীকে অবহিত করা হয়েছে। বাদী এ বিষয়ে তখন কোন আপত্তি তোলেননি।
ভিকটিমের মা বলেন, ঘটনার দিন সকালে প্রধান আসামি রাব্বির ছোট ভাই আরবি গোলদার সকালে তাদের বাড়ি এসে হত্যার হুমকি দিয়ে যায়। তখন সে বলে, “হয় বড় ভাই, না হয় ছোট ভাই খুন হবে।