যশোরের খোলাডাঙ্গার চাঞ্চল্যকর শিশু কথা আফরিন তৃষা ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় দুই আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সোমবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ১ এর বিচারক টিএম মুসা এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্র্যাইবুনাল-১ এর পিপি সেতারা খাতুন।
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন, শহরতলীর খোলাডাঙ্গা এলাকার মৃত আউয়ালের ছেলে সাইফুল ইসলাম ও কামরুল গাজীর ছেলে মেহেদী ওরফে শক্তি গাজী। এছাড়া এ মামলার আরেক অভিযুক্ত মাদক ব্যবসায়ী শামীম গতবছরের ৬ মার্চ ক্রসফায়ারে নিহন হন।
এদিকে, মামলার রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী নিহতের পিতা তরিকুল ইসলাম। তিনি জানিয়েছেন, রায়ের বিপক্ষে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।
গত বছরের ৩ মার্চ বিকেলে খেলা করতে গিয়ে নিখোঁজ হয় শিশু শিক্ষার্থী কথা আফরিন তৃষা। পরদিন ৪ মার্চ সন্ধ্যায় বাড়ির পাশে গর্ত দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। এরপর গর্ত খুঁড়ে তৃষার লাশ উদ্ধার করা হয়। তাকে ধরে নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ গর্তে পুতে রাখা হয়। এ ব্যাপারে নিহত তিশার পিতা খোলাডাঙ্গা গ্রামের সালভেশন আর্মিপাড়ার ওমর আলীর বাড়ির ভাড়াটিয়া ইজিবাইক চালক তরিকুল ইসলাম অজ্ঞাত আসামি করে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। ঘটনার পর স্কুলের ছাত্রছাত্রী ও এলাকাবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। এ নিয়ে যশোরের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিবাদী মানববন্ধন শুরু হয়। বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ একাট্টা হয়ে খুনীদের আটক ও বিচারের দাবি জানায়। ঘটনার পরে পুলিশ আরেক অভিযুক্ত সাইফুল ইসলামকে আটক করে। পরে আদালতে তিনি স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেন। ওই তিনজন জড়িত থাকার বিষয় জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রহমানের আদালতে স্বীকার করেন।
এছাড়া ঘটনার কয়েকদিনের মাথায় জড়িত মাদক ব্যবসায়ী শামীম ক্রসফায়ারে নিহত হয়। জবানবন্দির পর তদন্ত শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক শিহাবুর রহমান শেহাব। তৃষা হত্যায় জড়িত থাকলেও নিহত হওয়ায় শামীমকে এ মামলা থেকে অব্যহতি দেয়া হয়। পরে শক্তি গাজীও আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালতে ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহন শেষে সোমবার রায় ঘোষণা করেন বিচারক।
খুলনা গেজেট/কেএম