যশোরের ঝিকরগাছা ও চৌগাছা উপজেলার ২২টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ আগামীকাল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে কেন্দ্রগুলোতে পৌঁছে দেয়া হয়েছে নির্বাচনী সরঞ্জাম। কেন্দ্রগুলোতে অবস্থান করছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ নির্বাচনী কর্মকর্তারা। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর দেশে দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হচ্ছে যশোরের ঝিকরগাছা ও চৌগাছা উপজেলার ২২টি ইউনিয়নের নির্বাচন।
এ দুটি উপজেলার যেসব ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে সেগুলো হলো, ঝিকরগাছা উপজেলার গঙ্গানন্দপুর ইউনিয়ন, মাগুরা, শিমুলিয়া, গদখালী, পানিসারা, ঝিকরগাছা, নাভারণ, নির্বাসখোলা, হাজিরবাগ, শংকরপুর ও বাঁকড়া। চৌগাছা উপজেলার ফুলসারা, পাশাপোল, সিংহঝুলি, ধুলিয়ানি, চৌগাছা সদর, জগদীশপুর, পাতিবিলা, হাকিমপুর, স্বরূপদাহ, নারায়নপুর ও সুখপুকুরিয়া ইউনিয়ন। ইতিমধ্যে সকাল থেকেই এসব ইউনিয়নের কেন্দ্রগুলোতে নির্বাচনী সরঞ্জাম পৌঁছে দেয়া হয়েছে। অবস্থান করছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ নির্বাচনী কর্মকর্তারা।
দুটি উপজেলার ২২টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর বাইরে দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা অংশ নিয়েছেন। ভোট যুদ্ধে নেমেছেন বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা। স্বতন্ত্র প্রার্থীর মোড়কে তারা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে দুটি উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে সহিংস ঘটনা ঘটেছে। চৌগাছায় চেয়ারম্যান প্রার্থীর গাড়িতে বোমা হামলা, ঝিকরগাছার গদখালীতে সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষ ও বোমা হামলায় কয়েকজন আহত হয়েছেন। এসব কারণে নির্বাচন নিয়ে প্রার্থীরা অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগও করেছেন। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবারের ভোট নিয়ে স্ব স্ব এলাকার ভোটারদের মধ্যে শঙ্কা রয়েছে। তবে প্রস্তুত রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। গোটা জেলার পুলিশ কর্মকর্তাসহ সদস্যরা, আনসার, গ্রাম পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এসব কেন্দ্রগুলোতে।
এছাড়া টহলে থাকবে র্যাব সদস্যসহ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সদস্যরা। নির্বাচনী পরিবেশ বিনষ্টকারীদের বিরেুদ্ধে তারা তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম