যশোর শহরের পুরাতন কসবা কাজীপাড়া নিরিবিলি এলাকা থেকে ড্রামভর্তি কঙ্কাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (৩০ মে) দুপুরে কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশ ওই এলাকার বজলুর রহমানের জমি থেকে ওই কঙ্কাল উদ্ধার করে।
স্থানীয়রা জানান, বেনাপোলের শাঁখারিপোতা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা বজলুর রহমান আড়াই বছর আগে মশিউর রহমান নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে একটি জমি কেনেন। ওই জমির মালিক এর আগে আজিজুল হক ছিলেন। আর আজিজুল হক এর মেয়ের জামাই মশিউর রহমান। স¤প্রতি বজলুর রহমান ওই জমিতে বাড়ি নির্মাণের কাজ করছিলেন। সোমবার পাইলিং করতে গিয়ে মাটির নিচে পাত কুয়ার ভেতরে একটি ড্রামের সন্ধান পায় শ্রমিকেরা। পরে তারা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ড্রাম খুলে মানুষের কঙ্কাল উদ্ধার করে।
ওই জমিতে কাজ করতে আসা শ্রমিক নুরুন্নবী ও আব্দুস ছাত্তার জানান, তারা পাইলিং এর সময় নীল রঙের ড্রামটি দেখতে পান। ওই ড্রামের ভেতরে ও আশপাশে চুন দেয়া ছিলো। দুর্গন্ধ পেয়ে তাদের সন্দেহ হয়। তারা প্রথমে জমির মালিক বজলুর রহমানকে জানান।
এই ব্যাপারে জমির মালিক বেনাপোল এলাকার বজলুর রহমান জানান, আড়াই বছর আগে সোয়া চার শতক এ জমি তিনি ক্রয় করেন। কিছুদিন ধরে তিনি কাজ শুরু করেন। সোমবার শ্রমিকদের মাধ্যমে তিনি খবরটি জানতে পারেন।
এ ঘটনার পর কোতয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজুল ইসলাম, ওসি (তদন্ত) মনিরুজ্জামান, পুরাতন কসবা ফাঁড়ি ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক রেজাউল করীমসহ পুলিশের একাধিক টিম ও পিবিআই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ওসি তাজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ওই কঙ্কাল উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি জানান, ধারণা করা হচ্ছে আনুমানিক ৫ বছর আগে নিহতের মরদেহ ড্রামভর্তি করে জমিতে রাখা হয়েছিলো। হত্যাকারীরা লাশ গুম করার জন্য ড্রামের ভেতরে রেখে মুখ বন্ধ করে পুঁতে রেখেছে। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে এটি কার লাশ তা বের করা সম্ভব হতে পারে।