ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং থেকে মানুষকে রক্ষায় যশোরে ১১টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। একইসাথে প্রস্তুত থাকছে পাঁচটি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র ও একটি মুজিব কেল্লা। পাশাপাশি জেলার ১২শ’ ৯০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ৯৩৬ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ খুলে রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে ৪ হাজার ৮শ’ মানুষ থাকতে পারবে।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবেলায় যশোর জেলা প্রশাসন ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। জেলা প্রশাসন থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী সিত্রাং মঙ্গলবার ভোর নাগাদ বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম করতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে লোকজন যাতে নিরাপদে আশ্রয় নিতে পারে সেজন্য জেলার প্রাথমিক স্তরের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বিকেলে জরুরিভাবে জুম মিটিং করেছে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি। ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় জেলায় কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে।
জরুরি প্রয়োজনে কন্ট্রোলরুমের ০২৪৭৭৭-৬২৫৮৯ টেলিফোন ও ০১৭০০-৭১৬৭১৩ মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রফিকুল হাসান স্বাক্ষরিত এক পত্রে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিকে, সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফিরোজ আহমেদ জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের হাত থেকে রক্ষা পেতে বিভিন্ন মসজিদে মাইকিং করা হয়েছে। মাইকিং করা হয়েছে ইউনিয়নে ইউনিয়নে। মাইকিংয়ে কাঁচা, আধা পাকা ও টিনশেড বাড়ির লোকজনকে পাশের পাকা বাড়ি অথবা সাইক্লোন শেল্টারে যেতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। স্কুল এবং কমিউনিটি ক্লিনিক খোলা রাখা হবে বলে জানিয়েছেন ফিরোজ আহমেদ।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন, যশোরের বিভিন্ন সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নেয়া মানুষের জন্য ১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। একইসাথে স্থানীয় খাদ্য গুদামগুলো খুলে রাখা হবে। যাতে জরুরি প্রয়োজনে কাজে লাগানো যায়।