যশোরে বিএনপির শীর্ষ চার নেতার বাড়িতে ভাঙচুর ও নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নে কর্মী সমাবেশে হামলার ঘটনায় প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা বিএনপি। শনিবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতারা দাবি করেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিভিন্ন এলাকায় বিএনপির প্রতিবাদ কর্মসূচি বাঁধাগ্রস্ত ও নেতাকর্মীদের মধ্যে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টির জন্য এ হামলা করা হয়েছে। তবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পাল্টা অভিযোগ করে বলা হয়েছে, বিএনপি নিজেরাই হামলার নাটক সাজিয়েছে। আগস্ট মাস আসলেই তারা এ ধরনের অপপ্রচার চালাতে অভ্যস্ত বলে দাবি আওয়ামী লীগ নেতাদের।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির নেতৃবৃন্দ বলেন, শুক্রবার রাত ২ টা থেকে ৩টার মধ্যে অজ্ঞাত পরিচয়ের ২০-২৫ জন দুর্বৃত্ত মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকারযোগে প্রথমে খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের বাড়িতে হামলা চালায়। তারা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ভাঙচুর চালায়। এরপর পর্যায়ক্রমে উপশহরে বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, সদস্য মিজানুর রহমান খান ও যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকনের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। এ সময় তারা অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও ইটপাটকেল ছুঁড়ে ঘরের জানালার কাঁচ ভাঙচুর করে। তাদের ছোঁড়া ইটের টুকরা ঘরের ভেতরে চলে যায়। এ সময় তাদের পরিবারের সদস্যরা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন। মিজানুর রহমান খানের একটি প্রাইভেটকার ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, যশোর জেলা বিএনপি আহবায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম, সদস্য সচিব সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, যুগ্ম, আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, সাবেক কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মফিকুল ইসলাম তৃপ্তি, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট জাফর সাদিক, মিজানুর রহমান খান, আব্দুস সালাম আজাদ, মারুফুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম মুল্লুক চাঁন প্রমুখ।
এদিকে, হামলার ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, এটা বিএনপির নাটক। প্রতিবছর আগস্ট মাস আসলে এ ধরনের নাটক তারা সাজিয়ে থাকে। এবারো তাই হয়েছে। তিনি বিএনপির নাটকের প্রতিবাদ জানান।
খুলনা গেজেট/এমএম