বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদ যশোর শাখার সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ রাসেল হত্যা মামলায় আরবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্যসহ নয়জন আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। বৃহস্পতিবার তারা আদালতে আত্মসমর্পণের পর জামিন আবেদন করলে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুদ্দীন হোসাইন তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আসামিরা হলেন, যশোর সদর উপজেলার বালিয়া ভেকুটিয়া গ্রামের শাহাদত হোসেনের ছেলে শহিদুজ্জামান শহীদ, একই গ্রামের সেকেন্দার আলীর ছেলে খাইরুল ইসলাম, আবু তাহেরের ছেলে সবুজ হোসেন, শাহাদতের ছেলে শামীম, রুহুল আমিনের ছেলে সেলিম মিয়া, বাগদিয়া গ্রামের আয়নাল মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ আলমগীর, বাশবাড়িয়া গ্রামের মোসলেম সরদারের ছেলে রমজান সরদার, মোশারেফের ছেলে আশিক হোসেন ও দুলালের ছেলে আজাদ হোসেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ এপ্রিল আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদের যশোর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ রাসেলকে (২৩) কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। তিনি বালিয়া ভেকুটিয়া গ্রামের সালেক মৃধার ছেলে। সন্ত্রাসীদের হামলা ঠেকাতে গিয়ে রাসেলের বড় ভাই আল-আমিনও (২৬) জখম হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে ২৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। পুলিশ হত্যার সাথে জড়িত অভিযোগে পরদিন ওমর আলী, ইমদাদুল হক, এমএ রিজাউল ইসলাম ও সাগরসহ চারজনকে আটক করে।
এরমধ্যে সাগর হত্যার কথা স্বীকার করে ওইদিনই আদালতে জবানবন্দি দেয়। এরপর এ মামলার আরেক আসামি শাহিন আলমকে আটক করে পুলিশ। এই মামলার অন্যতম আসামি মাহাবুবুর রহমান ওরফে পিচ্চি বাবুকে পুলিশ আটক করে। পরে সে আদালতে জবানবন্দি দেয় পূর্বশত্রæতার জের ধরে ১৯ জন মিলে প‚র্বপরিকল্পিত ভাবে রাসেলকে হত্যা করা হয়েছে ।
এদিকে মামলার এ নয় আসামি দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক তাদের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
খুলনা গেজেট/কেএম