যশোরে মদ্যপ অবস্থায় গুলিবিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতা হানিফ মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে তিনি ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে তার মৃতদেহ যশোরে এনে জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
শহরের লোন অফিসপাড়ার হানিফের স্ত্রী শিরিন বেগম জানান, তাকে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকাতে নিয়ে যাওয়ার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার বড় একটি অপারেশন করা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার রাত ২টয় তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে আইসিইউতে নেয়ার প্রস্ততি চলছিলো। এ সময় হানিফ মারা যান।
তিনি আরও জানান, ঘটনার দিন বুধবার সকালে বার বার হানিফকে কল করেছিলো চেয়ারম্যান টুটুল। এক পর্যায়ে হানিফ বাড়ি থেকে বের হন। গভীর রাতে জানতে পারেন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন হানিফ।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ কাজী বাবুল জানান, এ ঘটনার সাথে জড়িতদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে, চেয়ারম্যান টুটুলকে আটক করলেই বিস্তারিত জানা যাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
উল্লেখ্য, গত বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে হানিফকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান জামদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম টুটুল। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে হানিফকে ফেলে রেখে কৌশলে পালিয়ে যান সাবেক চেয়ারম্যান টুটুল। মদ্যপ অবস্থায় তার লাইসেন্সকৃত পিস্তল নিয়ে খেলা করার সময় গুলিবিদ্ধ হন আওয়ামী লীগ নেতা হানিফ। এসময় মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন গুলিবিদ্ধ হানিফ। হাসপাতালে তিনি একেক সময় একেক রকম তথ্য দিতে থাকেন। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে তিনি মারা যান।
খুলনা গেজেট/এএজে