যশোরে বাসের মধ্যে ধর্ষণ মামলার বাদী ভুক্তভোগী নারী মঙ্গলবার আদালতে জবানবন্দী প্রদান করেছেন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাইফুদ্দীন হোসাইন তার জবানবন্দী গ্রহণ করেন। পরে তাকে ভাইয়ের জিম্মায় প্রদানের আদেশ দেন আদালত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতয়ালি থানা পুলিশের ইন্সপেক্টর (অপারেশনস) শেখ আবু হেনা মিলন জানান, ভুক্তভোগী নারীকে মঙ্গলবার শেল্টারহোম থেকে আদালতে আনা হয়। এ সময় তিনি আদালতে জবানবন্দী প্রদান করেন। জবানবন্দীতে ওই নারী আদালতকে জানিয়েছেন, বাসের হেলপার মনিরুল ইসলাম মনির তার পূর্বপরিচিত। ঘটনার দিন বিকেলে রাজশাহী থেকে বাসে উঠলে গভীররাতে তিনি যশোরের মণিহার এলাকায় এসে পৌঁছান। এ সময় তিনি ও তার পূর্বপরিচিত মনিরুল ইসলাম মনির সেখানকার একটি হোটেলে খাওয়া দাওয়া করেন। পরে মনির রাতে তাকে আশ্রয় দেয়ার কথা বলে বাসের ভেতর নিয়ে যায়। দরজা আটকে দিয়ে বাসের ভেতর তাকে ধর্ষণ করে। পরে আরও দুজন এসে ধাক্কাধাক্কি করলে মনির বাসের দরজা খুলে দেন। এসময় ওই দুই ব্যক্তি বাসের ভেতর ঢুকে তাকে মারধর ও শ্লীলতাহানি ঘটায়। তবে তিনি এই দুই ব্যক্তিকে চেনেন না।
উল্লেখ্য, গত ৮ অক্টোবর রাতে যশোর শহরের বকচর হুশতলায় এম কে পরিবহনের একটি বাসের ভেতর বাঘারপাড়া উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের ওই নারীকে পূর্ব পরিচিত মনিরুল ইসলাম মনির আশ্রয় দেয়ার কথা বলে ধর্ষণ করে। পরে ওই রাতে আরও ৬ শ্রমিক সেখানে গিয়ে তাকে মারধর ও ধর্ষণের চেষ্টা করে। এরমধ্যে ৩ জন তার শ্লীলতাহানি ঘটায়, এ অভিযোগ এনে মামলা করেন ওই নারী। অভিযুক্তদের মধ্যে মনিরুল ইসলাম মনির গত ১০ সেপ্টেম্বর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়।
খুলনা গেজেট/ কেএম