চট্টগ্রামের উত্তর পতেঙ্গার টিএসপি কমপ্লেক্স থেকে সরবরাহকৃত যশোরে বাফার গোডাউনে জমা দেয়া ভেজাল টিএসপি সারের মামলায় দুই পরিবহন ঠিকাদারকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষে শনিবার আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন কোতয়ালি থানার এসআই এজাজুল হক।
অভিযুক্তরা হলেন, চট্টগ্রামের ২৮/৮ স্ট্যান্ড রোড মাঝিরঘাট এলাকার মেসার্স সৈয়দ এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটার আব্দুর রাজ্জাক মিয়ার ছেলে আহসান হাবিব ও সন্দিপের নাজিরহাট বাউরিয়া এলাকার গোলাম মোস্তফার ছেলে ইব্রাহিম হায়দার।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনের (বিসিআইসি) নিয়ন্ত্রণে টিএসপি সার উৎপাদিত হয়। এ সার পরিবহন ঠিকাদারের মাধ্যমে সারাদেশের বাফার গোডাউনে পাঠানো হয়ে থাকে। আসামিরা ১৫ মার্চ বিসিআইসি থেকে ২৪১ মেট্রিকটন টিএসপি সার উত্তোলন করে এবং তা ১৭টি ট্রাকের মাধ্যমে দুইদিনে যশোরে নিয়ে আসেন। এসব সার যশোর সদর উপজেলার বাহাদুরপুর পাঁচবাড়িয়ায় বাফার গোডাউনে নিয়ে যাওয়া হয়। ট্রাক থেকে সার আনলোড করার সময় প্রতিটি বস্তার মুখ দ্বিতীয়বার সেলাই করা বলে সন্দেহ হয় বাফার গোডাউনের ইনচার্জ আক্তারুজ্জামানের । এ সময় তিনি ট্রাক থেকে সার আনলোড বন্ধ করে ছয়টি ট্রাকের নমুনা সার সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকার রাসায়নিক পরীক্ষাগারে পাঠান।
পরীক্ষা শেষে দেখা যায় ওই ৬টি ট্রাকে সব সার ভেজাল। আসামিরা ৯২ লাখ ৯৫ হাজার টাকার ১শ’৪৩ মেট্রিক টন আসল সার বদল করে নকল সার বস্তায় ঢুকিয়ে তা যশোরের গুদামে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় টিএসপি কমপ্লেক্সের উপ-মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্যিক) মোহাম্মদ সোলায়মান গত ২৭ মার্চ ওই দু’জনকে অভিযুক্ত করে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে সারের নামুনা পরীক্ষার ফলাফল ও সাক্ষীদের বক্তব্যে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় ওই দু’জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। চার্জশিটে অভিযুক্ত দু’জনই জামিনে আছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।