যশোরের আলোচিত ফেরদৌস শেখ হত্যা মামলায় সাতজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে সিআইডি পুলিশ। প্রেম সম্পর্কিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে খুন হয় ফেরদৌস বলে চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে। নিহত ফেরদৌস নাজির শংকরপুর এলাকার আনিছুরের বাড়ির ভাড়াটিয়া আজাদ শেখের ছেলে।
অভিযুক্তরা হলেন, শংকরপুর গোলপাতা মসজিদ এলাকার মেসিয়ার খোকনের ছেলে সাব্বির, শংকরপুর বটতলা মসজিদের মেজোর ছেলে আকাশ, শংকরপুর নতুন বাস টার্মিনাল এলাকার রোস্তম আলীর ছেলে শিপন, একই এলাকার আনুর ছেলে শাকিব, নাজির শংকরপুর ছোটনের মোড়ের আলতাফ হোসেন আলতুর ছেলে অনিক ওরফে অনি, শংকরপুর চাকলাদার পাম্পের পাশের তরিকুলের ছেলে বাঁধন, রেলগেট এলাকার খোকনের ছেলে অন্তর ইসলাম।
চার্জশীটে তদন্ত কর্মকর্তা বলেছেন, একটি মেয়ের সাথে ফেরদৌসের প্রেম ছিল। শুধুই তাই নয়, ওই মেয়ের সাথে আরো কয়েকজনের সম্পর্ক ছিল। আসামি সাকিবসহ আরো কয়েকজন ফেরদৌসের সাথে ওই মেয়ের সম্পর্ক সহ্য করতে পারতেন না। সাকিবসহ তার বন্ধুরা প্রায় মোটরসাইকেল নিয়ে ওই মেয়ের স্কুলের সামনে যেতো ও ফেরদৌসকে চোখে চোখে রাখতো। এসব বিষয় নিয়ে সাকিবের সাথে ফেরদৌসের বাকবিতন্ডা হয়। ঘটনার দিন ফেরদৌসের সাথে ওই মেয়ের কথা হয়। যা সাকিব ও আকাশ দেখে ফেলে। পরে ফেরদৌস ও তার বন্ধু সুজন আমবাগানে যেয়ে মোবাইলে লুডু খেলা শুরু করে। এসময় অভিযুক্ত আসামিরা ঘটনাস্থলে যায়। এখানে ফেরদৌসের সাথে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায় প্রথমে আকাশ ফেরদৌসকে ছুরিকাঘাত করে। এরপর শিপন ও পরে সাব্বির তার বুকে ছুরিকাঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। অন্য আসামিরাও এসময় কিলঘুষি মেরে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
উল্লেখ, গত বছরের ১৩ জুন দুপুরে ফেরদৌস হতক্কান্ড ঘটে। এ ঘটনায় নিহতের পিতা শহরের নাজির শংকরপুরের আজাদ হোসেন নয়জনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। মামলার এজাহারভুক্ত সাত আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেয় সিআইডি পুলিশ। এছাড়া মামলার এজাহার ভুক্ত আসামি ফয়েজের বাবার নাম দেয়া ছিল না বলে তাকে শনাক্ত করা যায়নি বলে উল্লেখ করা হয় ও নাজির শংকরপুর ছোটনের মোড়ের আলার ছেলে এ ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততার বিষয় প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে বলে চার্জশিটে উল্লেখ করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশ ইন্সপেক্টর মহানন্দ সিং। একই সাথে এ হত্যা মামলা থেকে রাজার অব্যহতির আবেদন জানিয়েছেন তিনি। আসামি বাধনকে চার্জশিটে পলাতক দেখানো হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এমএম