খুলনা, বাংলাদেশ | ৪ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ৭ দিনের জন্য আন্দোলন স্থগিত করেছেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা
  ইউনাইটেড হাসপাতালের চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
  ৪০তম ব্যাচের ক্যাডেট এসআইদের সমাপনী কুচকাওয়াজ স্থগিত

যশোরে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

যশোরের মণিরামপুরে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত মহাসিন হোসেন মণিরামপুর উপজেলার হাজরাকাটি গ্রামের আসাদ মোড়লের ছেলে।

তিনি বর্তমানে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় কর্মরত রয়েছেন। সোমবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক নিলুফার শিরীন অভিযোগ আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, ২০১৯ সালে এসএসসি পরীক্ষা শেষ করে মণিরামপুরে তার বোনের বাড়ি বেড়াতে যান। সেই সময় পরিচয় হয় মহাসিন হোসেনের সাথে। পরে মহাসিন বিভিন্ন সময় তার সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করেন। এক পর্যায় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে মহাসিন বাদীকে জানান, তিনি শিঘ্রই পুলিশে যোগদান করবেন। যোগদানের পর বাদীকে বিয়ে করবেন। এ আশ্বাস দিয়ে বিভিন্ন সময় শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন। পরে মহাসিন পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি পান। ছুটিতে বাড়িতে এসে গত ১৯ মার্চ বাদীর বড় বোনের বাড়িতে যেতে বলেন। এরপর বাদী সেখানে যান। বোন ও ভগ্নিপতি বাড়ির বাইরে গেলে মহাসিন ওই বাড়িতে যায়। এসময় তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। কিছু সময় পর বোন বাড়িতে আসলে বিষয়টি জানাজানি হয়। এরপর মহাসিন বিয়ের আশ্বাস দিয়ে চলে যায়।

গত ১০ এপ্রিল মোবাইলে মাহসিনকে বিয়ের জন্য বললে তিনি অশোভন আচরণ করেন। এরপর ২৬ জুন বাদীকে বিয়ে করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। শুধুই তাই নয়, এসময় বাদীকে এসব বিষয়ে কাউকে কিছু জানালে গুম ও হত্যার ভয় দেখানো হয়। বাদীর সাথে মহাসিনের শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও ধারণ করা আছে, ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখায় মহাসিন। এক পর্যায় বাদী সোমবার আদালতে এ মামলা করেন।

এ বিষয়ে কনস্টেবল মহাসিন জানান, তিনি যখন খুলনায় চাকরি করতেন, সেই সময় ওই মেয়ের সাথে তার পরিচয় হয়। এ পরিচয়ের সূত্র ধরে তার বোনের বাড়িতে যান। সেখানে গেলে তাকে আটকে রেখে ব্লাক মেইলের চেষ্টা করা হয়। তার সাথে অপ্রতিকর ছবি তুলে রাখা হয়। ওই ছবি দেখিয়ে তাকে ব্লাক মেইল ও বিয়ে করতে বাধ্য করা হচ্ছে। তিনি এসব অভিযোগ মিথ্যা দাবি করেন।

খুলনা গেজেট / আ হ আ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!