যশোরে পৃথক দু’টি মাদক মামলায় তিন আসামিকে কারাদণ্ড প্রদান করে প্রবেশনে মুক্তি দিয়েছেন আদালত। বুধবার জেলা যুগ্ম দায়রা জজ শিমুল কুমার বিশ্বাস পৃথক দু’টি মামলার রায়ে এ আদেশ দেন।
রায়ে আসামিদের নির্দিষ্ট কয়েকটি শর্ত দেয়া হয়েছে। এসব শর্ত মেনে প্রবেশন কর্মকর্তার অধিনে থেকে বাড়িতেই তাদের সাজা ভোগ করতে হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের এপিপি লতিফা ইয়াসমিন ও ভীম সেন দাস।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১২ সালের ২৪ মে বেনাপোল পোর্ট থানার ভবেরবেড় গ্রাম থেকে ১২ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক হয় খুলনার দৌলতপুর থানার রেলিগেট এলাকার মাহামুদের ছেলে মোজাম্মেল হোসেন চঞ্চল। এ ঘটনায় বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা দায়ের করেন এসআই শিকদার মতিয়ার রহমান। ওই মামলায় নয় শর্তে তাকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়ে প্রবেশনে মুক্তি দেয় আদালত।
শর্তগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, করোনাকালীন জনসচেতনতা সৃষ্টি ও মানুষকে মাস্ক ব্যবহারে উদ্ধুদ্ধ করতে হবে এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা কারাগারের রোজনামচা গ্রন্থটি পড়তে হবে।
এদিকে, ২০০৬ সালের ১ মে অভয়নগর উপজেলার বুইকারা গ্রাম থেকে পুলিশ আটক করে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার দর্শনার নাজিম উদ্দিনের ছেলে সেলিম হোসেন ও একই উপজেলার উথলী গ্রামের আনছার আলীর ছেলে মজনু মিয়া। এসময় পুলিশ তাদের কাছ থেকে ৪০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে। এ ঘটনায় এএসআই নুরুল আলম বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আসামি দু’জনকে বুধবার আট শর্তে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়ে প্রবেশনে মুক্তি দেন আদালত। তাদের শর্তের মধ্যে রয়েছে, নিজ বাড়ির আঙিনায় দু’টি বনজ ও তিনটি ফলজ গাছ লাগাতে হবে ও পরিবারের সদস্যদের প্রতি যতœশীল হতে হবে।