যশোর ডিবি পুলিশ পরিচয়ে দিন দুপুরে ইজিবাইকের চালকের সহযোগীতায় দস্যুতার ঘটনায় স্থানীয় জনগনের সহায়তায় রানা মোল্যা নামে এক দস্যুকে ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় কোতয়ালি মডেল থানায় শুক্রবার মামলা হয়েছে। মামলায় আসামীরা হচ্ছে, ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ীয়া গ্রামের নজরুল মোল্যার ছেলে রানা মোল্যা, একই উপজেলার বিষয়খালী গ্রামের মুন্না ও অজ্ঞাতনামা ইজিবাইকের চালক।
ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার শাহাপুর ঘিঘাটি গ্রামের আতিয়ার রহমানের মেয়ে যশোর শহরের খড়কী এমএম কলেজের সামনে শিশির এর ছাত্রী হোস্টেলের ছাত্রী রিপনা খাতুন কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন।
মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, শুক্রবার ২২ জানুয়ারী দুপুর সাড়ে ১২ টায় তিনি তার বন্ধু চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার গঙ্গাদাসপুর গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে শিহাব ও রিপনা খাতুন একটি ইজিবাইকে যশোর উপশহর এলাকা থেকে ওঠে। তারা মনিহারের দিকে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ইজিবাইকে উঠার সময় উক্ত স্থান থেকে রানা মোল্যা উঠে। কিছুদূর যাওয়ার পর মুন্না উক্ত ইজিবাইকে ওঠে ইজিবাইকে উঠার পর রানা মোল্যা রিপনা খাতুনের কাছে তাদের মধ্যে সম্পর্ক জানতে চাইলে সে জানায় তার বন্ধু। জানার সাথে সাথে রানা মোল্যা ও মুন্না তাদের গালিগালাজের এক পর্যায় নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাদেরকে জিম্মি করে। মনিহার এলাকায় যাওয়ার পর ইজিবাইক থেকে শিহাবকে জোর পূর্বক নামিয়ে দেয়।
পরে উক্ত ইজিবাইক ডিবি অফিসে যাওয়ার কথা বলে পালবাড়ি মোড় এলাকায় যায়। এর মধ্যে পথিমধ্যে রিপনা খাতুনের কাছ থেকে নগদ ৫০ টাকা ও ১২ হাজার টাকা মূল্যের মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। ইজিবাইকটি পালবাড়ী মোড় এলাকা দিয়ে যাওয়ার এক পর্যায় রানা মোল্যা ইজিবাইক থেকে নেমে দৌড়ে পালাবার কাছে রিপনা খাতুন চিৎকার দিলে স্থানীয় লোকজন ও জনগন এগিয়ে এসে রানা মোল্যাকে ধরে ফেলে। এ সময় তার সহযোগী অপর সহযোগী মুন্না ও ইজিবাইকসহ চালক দ্রুত পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পরে রানা মোল্যার দখল হতে মোবাইল ফোন ও টাকা উদ্ধার করে। পরে পুলিশে খবর দিয়ে হস্তান্তর করে। শনিবার রানা মোল্যাকে আদালতে সোপর্দ করে।
খুলনা গেজেট/কেএম