খুলনা, বাংলাদেশ | ২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৭ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৮ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১৩৮৯
  পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকেও আমরা ভারত থেকে ফেরত চাইব : প্রধান উপদেষ্টা

যশোরে জনি হত্যা মামলায় ২১ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট

যশোর প্রতিনিধি

যশোর সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুরে জনি হোসেন হত্যা মামলায় ২১ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ।

অভিযুক্তরা হল, যশোর সদর উপজেলার চাউলিয়া গ্রামের মৃত মনোয়ার ওরফে মনুর ছেলে শাহিন আলম, হাসেম মোয়াজ্জেমের ছেলে মর্তুজা, আব্দুর শুকুরের ছেলে বাছির, তৌফিক খোকন মিয়ার ছেলে রেজোয়ান, নরেন্দ্রপুর পোস্টঅফিসপাড়ার নওশের আলী গাজীর ছেলে সবুজ হাসান, একই এলাকার দবির হোসেনের ছেলে সুমন হোসেন, মোল্লাপাড়ার জালালের ছেলে সাগর হোসেন, ঘোড়াগাছা সাহাপাড়া কলেজ এলাকার সঞ্জয় পালের ছেলে সুজন কুমার পাল, কচুয়া ঘাটকান্দা গ্রামের রবিউলের ছেলে নয়ন, চাউলিয়া গ্রামের তোফাজ্জেলের ছেলে মুন্না, পূর্বপাড়ার শফিয়ার রহমানের ছেলে হাসান কবীর ওরফে অনিক, ঘোড়াগাছার গৌর সাহার ছেলে মিলন, সাধন দাসের ছেলে পান্ত, মুনসেফপুর খানপাড়ার তারেক খানের ছেলে সাব্বির হোসেন ওরফে নিশান খান, কচুয়া মোল্লাপাড়ার দাউদ মোল্লার ছেলে আরিফ, চাউলিয়া গ্রামের হাসেমের ছেলে আনাম, পূর্বপাড়ার আজগরের ছেলে তুহিন হোসেন, নরেন্দ্রপুর মোল্লাপাড়ার গোলাম মোস্তফার ছেলে রাসেল, গোপালপুর দফাদরপাড়ার ওয়াজেদ আলীর আল আমিন হোসাইন ও ঘোড়াগাছার দুলাল সাহার ছেলে সোহাগ। একই সাথে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ না মেলায় মামলার এজাহারভুক্ত চার আসামিকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আবেদন জানানো হয়েছে।

কোতোয়ালি থানার সাব ইন্সপেক্টর সাইফুল মালেক মামলা তদন্ত শেষে রোববার আদালতে এ চার্জশিট জমা দেন। অভিযুক্ত আসামিরা এলাকার উঠতি বয়সের সন্ত্রাসী। জনি বিভিন্ন ব্রিকস ফিল্ডে মাটি সরবরাহের ব্যবসা করতো। এ নিয়ে আসামি শাহিন ও মুর্তুজার সাথে নিহত জনির দ্বন্দ শুরু হয়। এরপর তারা জনিকে হত্যার হুমকি দেন। তারই অংশ হিসেবে অন্য আসামিরা একত্রিত হয়ে হত্যার পরিকল্পনা করে। গতবছরের ৯ ডিসেম্বর জনি তার মামা বাড়িতে থাকা অবস্থায় আসামি সুমন ও সাগর মোটরসাইকেলে করে জনিকে নিয়ে যায়। এরপর জনিকে নিয়ে মোল্লাপাড়া হারুন অর রশিদের চায়ের দোকানের সামনে নিয়ে চা খাওয়ায়। এসময় পূর্বপরিকল্পিতভাবে অন্য আসামিরা এসে জনিকে মারপিট শুরু করে। পরে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম করা হয়। একপর্যায় মুর্তজা, মুন্না, অনিক, নয়ন জনিকে জাপটে ধরে। এসময় আসামি শাহীন আলম তার জ্যাকেটের পকেট থেকে ছুরি বের করে বুকের মাঝখানে বসিয়ে দেয়। আশপাশের লোকজনের চিৎকারে সবাই এগিয়ে আসলে আসামিরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই জনির মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় জনি হোসেনের পিতা মণিরামপুর উপজেলার ঢাকুরিয়া ইউনিয়নের তারুয়া গ্রামের পশ্চিমপাড়ার সিরাজুল ইসলাম মামলা করেন। মামলায় ২৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।

খুলনা গেজেট/কেএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!