যশোরের বসুন্দিয়া বাজারের মহুয়া সার্জিক্যাল ক্লিনিকের মালিক খলিলুর রহমানের এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ২০ লাখ টাকা অর্থদন্ড দেয়া হয়েছে। স্ত্রীর করা চেক ডিজঅনার মামলায় মঙ্গলবার যুগ্ম দায়রা জজ শিমুল কুমার বিশ্বাস এ আদেশ দেন। খলিল জঙ্গলবাধাল গ্রামের মৃত সৈয়দ আব্দুল খালেকের ছেলে। বর্তমানে তিনি পলাতক রয়েছেন।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের ৯ জুন যশোর সদর উপজেলার জঙ্গলবাধাল গ্রামের মনসুর আলীর কন্যা এসএম মাহমুদা বাদী হয়ে স্বামী খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, ২০১৫ সালের ৪ ফেব্রæয়ারি খলিল মহুয়া সার্জিক্যাল ক্লিনিক প্রতিষ্ঠার সময় এককালীন ২০ লাখ টাকা ধার হিসেবে নেন। পরে ওই টাকা ফেরত চাইলে ঘোরাতে থাকেন। ২০১৬ সালের ২৪ এপ্রিল খলিলুর স্ত্রী মাহমুদাকে সোনালী ব্যাংকের একটি চেক দেন। ২৭ এপ্রিল ওই চেক ব্যাংকে নিয়ে গেলে তা ডিজঅনার হয়। ২৮ এপ্রিল খলিলুরকে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করেন মাহমুদা। একমাসের সময় নির্ধারণ করা হলেও সে সময়ে খলিলুর টাকা ফেরত দেননি। বাধ্য হয়ে মাহমুদা এ মামলা করেন। ওই মামলায় খলিলুরকে সাজা প্রদান করেন আদালত।
উল্লেখ্য, খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রতারণার নানা অভিযোগ রয়েছে। কখনো ডাক্তার, কখনো সাংবাদিক, আবার কখনো মানবাধিকার কর্মী পরিচয় দিয়ে নানা অপকর্মের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সে অবৈধ ভাবে মহুয়া সার্জিক্যাল ক্লিনিক খুলে গলাকাটা বাণিজ্য করে আসছেন।