যশোর শহরতলীর শেখহাটী গ্রামের গৃহবধূ জিদানী আক্তার বন্যা ওরফে বনি হত্যার অভিযোগে আদালতে স্বামীসহ দু’জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলাটি করেছেন নিহতের মা বারান্দী মোল্লাপাড়ার ইমদাদুল খানের স্ত্রী রীনা বেগম।
এ মামলায় অভিযুক্তরা হলেন নিহতের স্বামী শেখহাটি তমালতলা এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে আবু বক্কার ও শেখহাটি মসজিদমোড় এলাকার নওয়াব আলীর ছেলে কাজল হোসেন। বিষয়টি আমলে নিয়ে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুদ্দীন হোসাইন কোতোয়ালি থানায় এ বিষয়ে কোনো মামলা আছে কিনা সেটি থানাকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, আবু বক্কর একজন সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। দুই বছরে আগে আবু বক্কর তার মেয়ে বন্যাকে বিয়ে করে। এরপর শেখহাটিতে এক বছর যাবত তারা ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। কিছুদিন আগে আবু বক্কর বন্যার কাছে একলাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। বন্যা বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়। এ টাকা দিতে না পারায় বন্যার উপর অত্যাচার শুরু করে বক্কার। বাধ্য হয়ে বাদীর স্বামী বক্কারের হাতে ৩০ হাজার টাকা তুলে দেন। তাতেও তার মন ভরেনি। এরপর গত ১৬ অক্টোবর সন্ধ্যার পর থেকে রাত ১২ টা ১৫ মিনিটের মধ্যে যে কোনো সময় বক্কার ও আরেক আসামি কাজল বন্যাকে যৌতুকের দাবিতে মারপিট করে। এক পর্যায় তারা বন্যার গলায় রশি পেচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে বন্যাকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং মৃত অবস্থায় সেখানে ফেলে তারা পালিয়ে যায়। পরদিন বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে মোবাইল ফোনে তারা এ ঘটনা জানতে পারে। বন্যার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন ছিল বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
এ ঘটনায় কোতয়ালি থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়। পরে তিনি বুধবার এ বিষয়ে আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
খুলনা গেজেট/এ হোসেন